ঢাকা, রবিবার, ২৬ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

জেএমবি মেহেদুলের বাড়িতেই তৈরি হতো বোমা-বিস্ফোরক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৭
জেএমবি মেহেদুলের বাড়িতেই তৈরি হতো বোমা-বিস্ফোরক

গাইবান্ধা: নিজ বাড়িতে জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্যদের নিয়ে বোমা ও বিস্ফোরক দ্রব্য তৈরি করতেন বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতারকৃত জেএমবি সদস্য মেহেদুল ইসলাম (৩৭)।

রোববার (৯ এপ্রিল) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেহেদুলের এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন গাইবান্ধা অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জয়নুল আবেদিন।

মেহেদুল ইসলাম গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশামত কেওয়াবাড়ী গ্রামের মৃত নুরুল আকন্দের ছেলে।

এর আগে, ৪ এপ্রিল দুপুরে পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের তালুকজামিরা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় বিপুল সংখ্যক জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়। পরদিন ৫ এপ্রিল পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও সন্ত্রাস দমন আইনে পলাশবাড়ী থানায় মামলা করে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদার রহমান জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে জানান, ৫ এপ্রিল সন্ত্রাস দমন আইন মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় তিন জেএমবি সদস্যকে। রোববার (৯ এপ্রিল) বিকেলে রিমান্ড শেষে গ্রেফতার মেহেদুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মাসুদার রহমান জানান, জবানবন্দিতে মেহেদুল জানান, সংগঠনটির আরেক সদস্য (পলাতক) আজাদুল কবিরাজের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে মেহেদুলের। পরে আজাদুল কবিরাজ আরো কয়েকজন জেএমবির সদস্যের সঙ্গে মেহেদুলের পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর দল বেধে জেএমবি সদস্যরা মেহেদুলের বাড়িতে (কিশামত কেওয়াবাড়ী) প্রায়ই রাত যাপন করতেন এবং তার বাড়িতেই বোমা ও বিভিন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য তৈরি করতেন।

গ্রেফতারকৃত জেএমবির বাকী দু’জন হলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার জগদীশ পাঁচপাড়ার আব্দুল সাত্তারের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩০) ও সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত নজলার রহমানের ছেলে আতাউর রহমান মন্টু (৩৫)।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ০৯ এপ্রিল, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।