সংবাদপত্রে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
বাবুনগরী বলেন, মুসলিম ছাত্রদের ঈমান বিরোধী রীতি পালনে রাষ্ট্র কখনোই বাধ্য করতে পারে না।
তিনি বলেন, আমরা দেশীয় রীতি ও সংস্কৃতির বিরোধী নই। তবে সংস্কৃতির লেবেল সেঁটে দিয়ে মুসলমানদের ঈমান হরণ করার আয়োজনে চুপ থাকার সুযোগ নেই।
বিবৃতিতে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আরো বলেন, ইসলামের বিশ্বাস মতে কোন জীবজন্তু, বন্যপ্রাণী ও দেবদেবীর মূর্তির কাছে কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করলে ঈমান থাকবে না। সুতরাং মুসলমানদের জন্যে মঙ্গল শোভাযাত্রার সংস্কৃতি চর্চা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
তিনি হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশীয় সংস্কৃতি মানে যেসব আচরণ ও রীতি দেশের মানুষের কাছ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রকাশ পায়। অথচ শিক্ষা অধিদপ্তর পহেলা বৈশাখে সারা দেশের কোমলমতি লাখ লাখ মুসলিম ছাত্রের এমন এক সংস্কৃতি পালনে বাধ্য করতে চাচ্ছে, যে সংস্কৃতির রীতি ও ধরন সম্পর্কে দেশের ৯০ মানুষের কোনই ধারণা নেই।
বিবৃতিতে হেফাজত মহাসচিব আরো বলেন, পান্তা-ইলিশের নামে যে সংস্কৃতির চর্চা এখন চলে থাকে, তাও আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কোন অংশ নয়, বরং এটা গ্রাম-বাংলার খেটে খাওয়া কোটি কোটি মানুষের দারিদ্রের সঙ্গে উপহাস।
বাঘ-ভাল্লুক ও সাপ-বিচ্চুর মঙ্গল শোভাযাত্রা কার প্রতিনিধিত্ব করছে এবং পান্তা-ইলিশে দেশের কত ভাগ মানুষ শরিক হওয়ার সক্ষমতা রাখে সে প্রশ্নও তোলেন বাবুনগরী।
বিবৃতিতে হেফাজত মহাসচিব ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পহেলা বৈশাখের নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে নারী সমাজের উপর সংঘবদ্ধ যৌন-নির্যাতনের ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, এর আগেও বহুবার বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নারী নির্যাতন ও নারীদের সম্ভ্রমহানির মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। তাই মা-বোনদের প্রতি আহ্বান জানাবো, তারা যেন বর্ষবরণের নামে ইসলাম বিরোধী এসব অনুষ্ঠানে শরিক হওয়া থেকে বিরত থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৭
জেডএম/