এবার চ্যানেলের অ্যাংকারেজে ১০ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের বড় জাহাজ (মাদার ভেসেল) চালাতে আউটার বার এলাকার নাব্যতা বাড়ানো হবে।
মংলা বন্দরে অধিক সংখ্যক জাহাজ ও মালামাল হ্যান্ডেল করতে নতুন এ উদ্যোগ নিয়েছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।
২০০৬ সালে প্রথমে মংলা বন্দরের অ্যাংকারেজ এলাকায় নয় মিটারের বেশি ড্রাফটের জাহাজ চলাচলে পশুর চ্যানেলের আউটার বার এলাকার নাব্যতা বাড়াতে ‘পশুর চ্যানেল আউটার বারে ড্রেজিং’ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় একনেক। ৫৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০০৬ সালের জুলাই থেকে ২০০৯ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়নের কথা ছিল প্রকল্পটি।
কিন্তু ড্রেজিং কাজের জন্য ছয় বার দরপত্র আহ্বান করা হলেও কোনো দরদাতা অংশ নেননি। আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হলেও আশানুরুপ সাড়া মেলেনি। ফলে মেয়াদ শেষেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি শূন্য। আর ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি ০৩ লাখ টাকা, যা মোট বরাদ্দের মাত্র ০ দশমিক ০৫ শতাংশ।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ব্যর্থ হওয়া প্রকল্পের তুলনায় নতুনটিতে কাজের পরিধি বেড়েছে। এখন মনিটারিং, মডেলিং ও হাইড্রোলিক বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে খনন করা হবে পুরো পশুর চ্যানেল। ১০৩ দশমিক ৯৫ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিংয়ের পাশাপাশি পশুর চ্যানেলে নেভিগ্যাবিলিটি স্টাডিও করা হবে।
৭৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চলতি সময় থেকে ২০১৯ সালের মেয়াদে জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জিকরুর রেজা খানম বাংলানিউজকে বলেন, ‘নানা কারণে মংলা বন্দরের অ্যাক্টিভিটিজ বাড়ায় পশুর চ্যানেল খনন করা জরুরি। এ চ্যানেলে অনেক জাহাজও ডুবে গেছে, যেগুলো আমরা উদ্ধার করতে পারিনি, সে সক্ষমতাও আমাদের নেই। নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে চ্যানেল খননের পাশাপাশি ডুবে যাওয়া জাহাজগুলোও উদ্ধার করবো’।
তিনি বলেন, ‘এর আগে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে ঠিকাদার পাইনি। প্রকল্পে ব্যয় কম ধরা হয়েছিলো। বর্তমানে রেট সিডিউলে অনেক কিছুর দামই বাড়তি। এবার প্রকল্পের ব্যয় পর্যাপ্ত ধরা হয়েছে। তাই আর কোনো সমস্যা হবে না। আশা করছি, যথাসময়ে পশুর চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধি করে বড় বড় জাহাজ চলাচলের উপযোগী করতে পারবো’।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর