ঢাকা, বুধবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বৈসাবি উৎসবে ঘরে ঘরে চলছে অতিথি আপ্যায়ন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
বৈসাবি উৎসবে ঘরে ঘরে চলছে অতিথি আপ্যায়ন বৈসাবি উৎসবে ঘরে ঘরে চলছে অতিথি আপ্যায়ন-ছবি: বাংলানিউজ

খাগড়াছড়ি: বুধবার (১১ এপ্রিল) থেকে পাহাড়ে শুরু হয়েছে বর্ষবিদায় আর বর্ষবরণের ঐতিহ্যবাহী আয়োজন। আয়োজনকে ঘিরে উৎসবমুখর পার্বত্য জনপদ। ঘরে ঘরে বিরাজ করছে ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসবের আমেজ, চলছে খেলাধুলা।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) চাকমা সম্প্র্রদায় উদযাপন করছে মূল বিজু। উৎসব ঘিরে চাকমা সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে চলছে অতিথি আপ্যায়ন।

এদিন নানা আয়োজনের বিভিন্ন রকম সবজি দিয়ে তৈরি বিশেষ পাজন পরিবেশন করা হয় অতিথিদের। পাহাড়িরা বিশ্বাস করে এই পাজনে ওষুধি গুণ রয়েছে। কারণ এটি একটি বিশেষ দিনের জন্য তৈরি করা হয়। এছাড়াও থাকে নানা রকমের সবজি। বৈসাবি উৎসবে ঘরে ঘরে চলছে অতিথি আপ্যায়ন-ছবি: বাংলানিউজ
এদিন যার যা সাধ্যমত নানা রকমের খাবারের আয়োজন করে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী। উৎসব উপলক্ষে প্রতিটি ঘর ফুলে ফুলে সাজানো হয়েছে। পরিষ্কার করা হয়েছে ঘরবাড়ি-দোকানপাট।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) চাকমা সম্প্রদায় গজ্জাপজ্জা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায় হারি বৈসু উৎসব উদযাপন করবে। এছাড়া শুক্রবার থেকে চারদিনের উৎসব উদযাপন করবে মারমা সম্প্রদায়।

উৎসবের প্রথম দিন র‌্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মারমা তরুণ-তরুণীরা জলকেলি কিংবা পানি খেলায় মেতে উঠবে। তিন জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসবের নামের প্রথম অদ্যাক্ষর দিয়ে বৈসাবি নামের সৃষ্টি।

বৈ-তে ত্রিপুরাদের বৈসু, সা-তে মারমাদের সাংগ্রাই এবং বি-তে চাকমাদের বিজু উৎসব বোঝানো হয়েছে।

আবার এই উৎসবগুলোর রয়েছে আলাদা নাম। যেমন ত্রিপুরাদের তিন দিনের উৎসবকে বলা হয় বৈসু, হারি বৈসু ও বিছিকাতাল। মারমাদের তিনদিনের উৎসবকে বলা হয় সাংগ্রাই, আক্যে, আতাদা এবং চাকমাদের উৎসবকে বলা হয় বিজু, ফুল বিজু ও গজ্জাপজ্জা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
এএটি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।