আর সেই সব রঙ ধরে পানি ছোটে নাচের ভঙ্গিমায়। ঠিক এমনটাই দেখা গেলো হাতিরঝিলের রঙিন আলোর ফোয়ারায়।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ফোয়ার উদ্বোধন করেন ডিজিটাল মাধ্যমে। এরপর রাত ৮টায় হাতিরঝিলে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় সেই আলোর নাচন। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেইন বলেই এর কথা বলা হচ্ছে।
বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে রঙিন আলো মিশিয়ে ফোয়ারার পানি নাচে তালে তালে। সজোরে উপরে ছুটে যাওয়া পানির ধারা রঙিন আলোয় মিশে আছড়ে পড়ে ঝিলে।
ফোয়ারার পানি ১০ মিটার থেকে ৮০ মিটার পর্যন্ত ওপরে উঠতে পারে বলে জানালেন কর্তৃপক্ষের একজন।
দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেন এই মন মাতানো দৃশ্য। বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে জনপ্রিয় হাতিরঝিলের আরো মোহনীয় রূপ দেখেন তারা। তবে প্রথম দিন বলে অনেকের কাছেই এখনও বিষয়টি অজানা। তাই ভীড় কিছুটা কম।
রাকিব হাসান নামে এক দর্শনার্থী বাংলানিউজকে বলেন, এটা অসাধারণ। দারুণ লেগেছে। মন ভরে গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাতিরঝিল মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেন ও ২ হাজার দর্শনার্থী আসন ক্ষমতা সম্পন্ন অ্যাম্পিথিয়েটারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনে তিনি বলেন, এটা নববর্ষে নগরবাসীর উপহার।
খোলা আকাশ, জলাশয়, সবুজ পরিবেশ, কিছুটা নিরিবিলি আর শীতল বাতাসে ক্লান্ত মনকে জুড়িয়ে নিতে অনেকে ছুটে আসেন হাতিরঝিলে। এখন থেকে মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেইন এবং অ্যাম্পিথিয়েটারের বাড়তি বিনোদন উপভোগ করার সুযোগ পাবেন নগরবাসী।
বিভিন্ন উৎসবে বাড়তি আয়োজনের পাশাপাশি প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা এবং রাত সাড়ে ৯টায় ১৫ মিনিটের জন্য চালু করা হবে এ বর্ণিল ফোয়ারা।
হাতিরঝিলের আশপাশের গুলশান, পুলিশ প্লাজা, মেরুল বাড্ডা, মধুবাগ ও মহানগর প্রজেক্ট এলাকা থেকে দেখা যাবে ১ হাজার ৯৮০ বর্গমিটারের এ রঙিন ফোয়ারায় জলের ধারা। হাতিরঝিলের গুলশান আড়ং ও পুলিশ প্লাজার মাঝামাঝি অংশে গোলাকার উন্মুক্ত মঞ্চ অ্যাম্পিথেয়েটার থেকেও তা উপভোগ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৭
এমইউএম/এমএমকে