ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই যাদের উৎসব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৭
উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই যাদের উৎসব পহেলা বৈশাখের উৎসব উদযাপনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক প্রহরা; ছবি-দীপু

ঢাকা: আজকের দিনটি অন্য যে কোন দিনের চেয়ে আলাদা। পূর্ব দিগন্তে নতুন সূর্য্য উকি দেওয়ার সাথে সাথে শুধু নতুন একটি দিনই শুরু হয়নি, শুরু হয়েছে নতুন একটি বছরের।

এসো হে বৈশাখ...গানে গানে নতুন আহ্বানে প্রতিটি বাঙ্গালি বরণ করে নিয়েছেন নতুন বছরকে। বাংলা পঞ্জিকায় ১৪২৪ সালের আগমনে উৎসবের রং লেগেছে বাংলার প্রতিটি ঘরে।

শুক্রবার ভোর থেকেই রাজধানীর পথে পথে উৎসবের আমেজ। আর সব উৎসব উদযাপনের পথগুলো এসে মিলেছে রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতে। রমনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে এখন উৎসবের জোয়ার। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে শুরু করেছে জনস্রোত।

আর এ এলাকার প্রতিটি মানুষের আনন্দ উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে সার্বক্ষণিত দায়িত্ব পালন করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আসলে আজ জনসাধারনের উৎসব উদযাপনের মূলে রয়েছেন তারাই। নির্বিঘ্নভাবে সবার আনন্দ উদযাপন নিশ্চিত করাই তাদের বৈশাখ উদযাপন।

কাটাবন মোড়, নীলক্ষেত মোড়, দোয়েল চত্বর, পল্টন, কাকরাইল, পরীবাগের মোড় ঘিরে তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে পুলিশ। পুরো এলাকাতে যারাই প্রবেশ বরছেন তাদেরকে যেতে হচ্ছে তল্লাশির মধ্য দিয়ে। ভেতরে ব্যাগ নিয়ে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া রমনা পার্কের প্রতিটি গেটেই আর্চওয়ে মধ্য দিয়ে তল্লাশি চৌকি পার হয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। পহেলা বৈশাখের উৎসব উদযাপনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক প্রহরা; ছবি-দীপুরমনা পার্ক, শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি পুরো এলাকাতে দায়িত্ব পালন করছেন বিপুল সংখ্যক ৠাব-পুলিশ সদস্য।

পুলিশ ও র্যাবের মোবাইল টিমকে মোটরসাইকেলে ঘুরে পুরো দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও টহল দিচ্ছেন পুরো এলাকাতে।

এছাড়া, বিপুল সংখ্যক গোয়েন্দা পুলিশ, সোয়াট সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি দায়িত্ব  পালন করছে র্যাব-পুলিশের ডগ স্কোয়াড।

নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রার পর এখন রমনাসহ পুরো এলাকাজুড়ে চলছে অন্যান্য অনুষ্ঠান। আর তাতে শ্রেণী ভেদাভেদ ভুলে শামিল হচ্ছেন সব বয়সীরা।

শাহবাগ মোড়ে দায়িত্ব পালনরত র্যাব সদস্য রেজা বলেন, জনসাধারণ নির্বিঘ্নে বৈশাখ পালন করতে পারলেই আমাদের বৈশাখ।

একই জায়গাতে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্য মেহেদী বলেন, আমরা উৎসব পালন করলে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে কে? তাহলে তো কোন উৎসবই হবে না। নিরাপত্তা নিশ্চিত করে উৎসব সম্পন্ন করতে পারলেই আমাদের উৎসব।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো এলাকা নজরদারি করতে স্থাপন করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক গতিবিধির নজরদারি করা হচ্ছে।

ইভটিজিং প্রতিরোধে পুলিশের সাদা পোশাকের বিশেষ টিম দায়িত্ব পালন করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, সারা দেশে পহেলা বৈশাখের উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবাই প্রাণ খুলে উৎসব করবে। গোয়েন্দা সংস্থা এবং নিরাপত্তা বাহিনী এবং যত ধরনের সংস্থা রয়েছে সবাই সজাগ রয়েছে। যেকোনো দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৭
পিএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।