ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

জলাতঙ্কে মরা গরুর মাংসে অসুস্থ শতাধিক পরিবারের মানুষ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৭
জলাতঙ্কে মরা গরুর মাংসে অসুস্থ শতাধিক পরিবারের মানুষ

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বাইটকামারী এলাকায় জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত  মরা গরুর মাংস বিক্রির আভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) ভোর থেকে মরা গরুর মাংস খাওয়া শতাধিক পরিবারের মানুষ বমি ও পাতলা পায়খানায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাইটকামারী গ্রামের সুমিতি রানীর একটি ষাঁড় গরু জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

পরে মৃত গরুটি শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকালে বাগুয়ারচর গ্রামের আবু বক্কর কসাই ও নবীন কসাই পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেয়।

বৈশাখ নববর্ষের দিন বাইটকামারী তাহের মোড়ে দুই কসাই মিলে অরো দু’টি গরু জবাই করে সঙ্গে মরা ষাঁড়টির মাংস মিশিয়ে বিক্রি করেন।

শনিবার ভোর থেকে ওই মাংস ভক্ষণকারী শতাধিক পরিবারের সদস্যদের বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হলে বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।

বাইটকামারী ও বাগুয়ারচর গ্রামের বাসিন্দা দয়াল চাঁদ, রসুল মিয়া, বাহার আলীসহ আরো অনেকে জানান, কসাইরা আমাগো মরা গরুর মাংস খাওয়াইছে। আর হেই মাংস খাইয়া দুই গ্রামের একশ’র উপর পরিবারের মানুষের পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হইছে। আমরা কসাইগোর বিচার চাই।

মরা গরুর মালিক সুমিতি রানী বরেন, বক্কর কসাই ও নবীন কসাই মরা গরুটি পাঁচ হাজার টাকায় কিনা নেয় এবং কাউরে কইতে নিষেধ করে।

রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রুহানী বাংলানিউজকে বলেন, মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত করে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নবীন ও বক্কর কসাইকে ধরতে গেলে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৭
এএটি/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।