ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বেনাপোল বন্দরে পণ্য চুরিতে পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৭
 বেনাপোল বন্দরে পণ্য চুরিতে পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ বেনাপোল স্থল বন্দরের পণ্যাগার

বেনাপোল (যশোর): বেনাপোল স্থলবন্দরে তালা ভেঙে আমদানি পণ্য চুরির ঘটনায় স্টোরকিপার ও নিরাপত্তা সংস্থা আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এদিকে রহস্যজনক এই চুরির ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এমন কি চুরি যাওয়া আমদানি পণ্যের পরিমাণও নির্ধারণ করা হয়নি।

এতে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

বন্দরে চুরি যাওয়া ২২ নম্বর পণ্য গুদামের স্টোরকিপার রফিক বাংলানিউজকে জানান, গত বুধবার (১২ এপ্রিল) রাতে পণ্যাগারের ডিউটি শেষে তিনি ও বন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা যৌথভাবে তালা লাগিয়ে সিলগালা করেন। রাতে পাহারায় ছিল আনসার সদস্য। পরের দিন (১৩ এপ্রিল) সকালে তিনি ও আনসার সদস্য উভয়ে আবার পণ্যাগারের সিলগালা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখেন মালামাল লন্ডভন্ড।
পেছনের একটি গেটের তালা ভাঙ্গা।

এ চুরিতে নিরাপত্তা কর্মী আনসার সদস্যের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন স্টোরকিপার। লিখিত ভাবে বিষয়টি বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালককে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে বন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার ব্যাটালিয়নের প্রধান (পিসি) রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এ চুরিতে স্টোর কিপারের হাত রয়েছে। তারা মালামাল আগে থেকে বের করে নিয়ে এখন নাটক সাজাচ্ছে। ওই পণ্যাগারের তালা ভাঙা হয়নি, সেটা আগে থেকে খুলে রাখা হয়েছিল। এ চুরিতে আনসারের কোন সদস্য জড়িত নেই। বিষয়টি নিয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। সঠিকভাবে নিরপেক্ষ তদন্ত হলে সত্যতা বেরিয়ে আসবে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, বার বার চুরির ঘটনা ঘটলেও কারো কোন নজরদারি নেই। চুরি প্রতিরোধে বন্দর কর্তৃপক্ষকে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের অনুরোধ জানানো হলেও এ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। বন্দরে হাজার হাজার কোটি টাকার পণ্য থাকলেও কেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সিসি ক্যামেরা লাগাতে অবহেলা বুঝতে পারছি না।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বন্দর থেকে পণ্য চুরি হলে শুধু লোকসান গুণতে হয় ব্যবসায়ীদের, বন্দরের কারো কিছু হয় না। এভাবে চলতে থাকলে এ পথে কেউ আর আমদানি করবে না।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম চুরির সত্যতা স্বীকার করে শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে বাংলানিউজকে বলেন, তদন্ত কমিটি হচ্ছে। তারা চুরির ঘটনা ও চুরি যাওয়া পণ্যের হিসাব নির্ধারণ করবে। এক্ষেত্রে কারো বিরুদ্ধে চুরির সংশিষ্টতার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৭
এজেডএইচ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।