শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে নদীটি উন্মুক্ত ঘোষণা করেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।
প্রায় দেড় দশক পর নদীতে মাছ ধরতে পারবেন জেনে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের হাজারো মানুষ দলবেঁধে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নদীর পাড়ে এসে ভিড় জমান।
নদীটি উন্মুক্ত ঘোষণার আগে জনগণের উদ্দেশ্যে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘নদীটি বিভিন্ন সময় সরকারিভাবে লিজ দেওয়া থাকায় প্রায় ১৫ বছর ধরে এ নদীতে আপনারা মাছ মারতে পারেননি। আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমি আপনাদের এ নদীটি মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত করার কথা দিয়েছিলাম। যেহেতু সরকারি নদী, তাই আমার নিজস্ব অর্থ দিয়ে প্রতি বছর সরকারের লিজের টাকা পরিশোধ করে দেবো’।
‘আজ আপনাদের সামনে ওয়াদা করছি, আমি যতোদিন বেঁচে আছি, ততোদিন এ নদীতে আপনারা মাছ ধরবেন’।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজিএম বাদল আমিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সগীর হোসেন, ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য গোলাম রাব্বানী পান্নু কাজী, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আনোয়ার আলী মোল্যা, মো. শাহজাহান মোল্যা ও রাসেল জামান প্রমুখ।
মাছ ধরতে আসা মো. আইয়ুব আলী ১২ কেজি ওজনের বোয়াল ও অনুকূল বিশ্বাস ৮ কেজি ওজনের রুই পান।
তারা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। চাইলেই বড় মাছ কিনে ছেলে-মেয়েদের খাওয়াতে পারি না। প্রায় ১৫ বছর আমরা এ নদীতে মাছ ধরতে পারিনি। এমপি নিক্সন চৌধুরী উন্মুক্ত করে সাধারণ মানুষকে মাছ ধরার সুযোগ করে দিয়েছেন’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৭
আরকেবি/এএসআর