দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকারদের নিয়ে আসা শুটকি পণ্যের বিনিময়ে বিক্রি হয়। তবে এখন আগের প্রথা ভঙ্গ করে টাকার বিনিময়েও শুটকি বেচাকেনা হয়।
সরজমিনে দেখা যায়, কাঁঠফাটা রোদ উপেক্ষা করে ব্যবসায়ীরা শুটকির পসরা নিয়ে বসেছেন। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ক্রেতারাও তীব্র গরম উপক্ষো করেই শুটকি কেনাকাটা করছেন।
মেলায় শুটকি কিনতে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এই মেলায় কেমিক্যাল ও লবণমুক্ত শুটকি পাওয়া যায়। এজন্য প্রতি বছরই শুটকি কিনতে প্রত্যন্ত এই গ্রামে ছুটে আসি। তবে অন্যান্য বারের চেয়ে এবার শুটকির দাম অনেক চড়া।
কুলিকুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা ও নাসিরনগর সদরের আশুতোষ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, গ্রামবাসীরা যুগ যুগ ধরে এ মেলায় আগত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোনো ধরনের চাঁদা নেন না। তাছাড়া এ মেলায় কোনো জুয়াড়িদের বসতে দেওয়া হয় না। মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অনেক ভালো।
সকালে মেলায় শুটকি কিনতে এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিয়াকত আলী বাংলানিউজকে বলেন, শুটকি নিয়ে এমন মেলার আয়োজন বিরল।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৭
এনটি