তবে পুলিশ বলছে, নিহত মুসা ওরফে চিকনা জামাল নিজেও একজন সন্ত্রাসী ছিলেন। নিহত মুসার নামে ভাষানটেক থানায় ডাকাতি, মাদক ও চাঁদাবাজি সংক্রান্ত মোট ১২ টি মামলা রয়েছে।
এর আগে, ১১ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টার দিকে ভাষানটেক এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন ঠিকাদার মো. মুছা ওরফে চিকনা জামাল (৪০)। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে তিনি মারা যান। মৃত মুছা ভাষানটেক শ্যামল পল্লীর শিল্পীরটেক এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।
এই ঘটনায় ১২ এপ্রিল (বুধবার) মৃত মুছার স্ত্রী রুনা আক্তার বাদী হয়ে ভাষানটেক থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১০। ওই মামলায় পানি নিজাম, রনি আলমগীরসহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, মুসা ভাষানটেক এলাকায় চিকনা জামাল নামে পরিচিত। অতীতে তিনি ডাকাতিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে লিপ্ত ছিলেন। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন ঠিকাদারি কার্যক্রমের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এই দ্বন্দ্বের জেরেই মুসার বিপক্ষ দলের সন্ত্রাসীরা ১১ এপ্রিল দুপুরে তাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালায়। ঘটনার পর আশংকাজনক অবস্থায় তাকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলেও পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, মুছার স্ত্রী রুনা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, নিহত মুছা ভাষানটেক ৪ নম্বর এলাকায় বালু ও মাটি ভরাটের ঠিকাদার ছিলেন। খুনের ৮/১০ দিন আগে মুছার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ওই এলাকার কিছু সন্ত্রাসীরা। এই চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তাকে গুলি করে হত্যা করে তারা।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ভাষানটেক থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মুছা ওরফে চিকনা জামাল নিজেই একজন সন্ত্রাসী ছিলো। টাকার বিনিময় যেকোনো অপরাধমূলক কাজ করতো সে। তার নামে ভাষানটেক থানায় ১২টি মামলা আছে।
তবে মুসা কি কারণে খুন হয়েছে, সে বিষয়ে এখন কিছুই বলা যাচ্ছে না। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৭
এসজেএ/আরআই