শনিবার (১৫ এপ্রিল) অভিযানের প্রথম দিন উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা বিভিন্ন মামলার আসামি।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম জানান, অভিযানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গত কয়েক দিনে হাতিয়ার হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা।
অভিযানে দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, শতাধিক পুলিশ সদস্য ও অর্ধশতাধিক র্যাব সদস্য নিয়োজিত রয়েছে বলে জানান তিনি।
হাতিয়ায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে গত কয়েকদিনের সহিংস ঘটনায় যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশরাফ উদ্দিন ও যুবলীগকর্মী নুরুল আলম নিহত হন। এসব ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। এ সময় বেশকিছু বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ জানান, যুবলীগ নেতা আশরাফ হত্যার ঘটনায় তার ভাই হাতিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাইফ উদ্দিন আহম্মেদের দায়ের করা মামলায় চর ঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রবীন্দ্র চন্দ্র দাস সহ ৮৭ জনকে আসামি করা হয়।
অপরদিকে, যুবলীগ কর্মী নুরুল আলম হত্যার ঘটনায় তার বাবা নূর হোসেনের দায়ের করা মামলায় ১৬১ জনকে আসামি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
আরআই