ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ট্যানারি স্থানান্তরে শ্রমিকদস্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখা হয়নি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
ট্যানারি স্থানান্তরে শ্রমিকদস্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখা হয়নি ট্যানারি স্থানান্তরে শ্রমিকদস্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখা হয়নি। ছবি: সুমন- বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে সাভারের হেমায়েতপুরে ট্যানারি শিল্প স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে শ্রমিকদের কোনো ধরনের স্বার্থ দেখা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিকরা।

রোববার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক মানবন্ধনে এ অভিযোগ করেন তারা।

মানববন্ধনে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আনোয়ারা হোসেন বলেন, অনেক পরিবেশবাদী বলছেন হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্পের কারণে রাজধানীর পরিবেশ দূষণ হচ্ছে।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ও মালিকপক্ষ ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তর করেছে। এক্ষেত্রে সরকার ও হাইকোর্ট শুধু মালিকদের স্বার্থ দেখেছে। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত ৩০-৪০ হাজার শ্রমিকের স্বার্থ অক্ষুণ্ন থাকে এমন কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। ফলে শ্রমিকরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।

বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সভাপতি মো. আবু জাফর বলেন, সাভারে শ্রমিকদের বাসস্থান, হাসপাতাল, স্কুল ইত্যাদি ব্যবস্থা না করে এ হস্তান্তর মোটেও ট্যানারি শিল্প টিকিয়ে রাখার বাস্তব পদক্ষেপ বা টোটাল সলিউশন নয়। ইতোমধ্যে হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প এলাকায় গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বিছিন্ন করা হয়েছে। আর এ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর সুযোগসন্ধানী মালিক দক্ষ শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগের পাঁয়তারা করছেন।

জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেসবাহ উদ্দিন বলেন, সিইটিপি পূর্ণভাবে চালু না করে শ্রমিকের স্বার্থ উপেক্ষা করে মালিকরা সরকারের কাছ থেকে ৩২ কোটি টাকা মওকুফ করিয়ে নিলো। কিন্তু সাভারে যে ট্যানারি শিল্প সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে সেখানে শ্রমিকদের জন্য কোনো ধরনের সুবিধা রাখা হয়নি।

মানববন্ধন থেকে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কমনা করা হয়।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক নেতা ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, নাইমুল হাসান জুয়েল, শামীম আরা ও চৌধুরী আশিকুল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
এমএ/আরআইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।