শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর বংশাল থানার চাঁনখারপুল এলাকা থেকে ওই জালিয়াত চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আটককৃতরা হলেন- অ্যাডভোকেট মো. আ. সামাদ ও তার মুহুরি মো. বনি আমিন।
রোববার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি’র যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।
আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বিশেষ করে মাদক মামলার আসামিদের জামিনের ব্যবস্থা করছে চক্রটি।
আব্দুল বাতেন জানান, গত বছরের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানায় ফজলুল করিম নামের একজনকে আসামি করে ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে জালিয়াত চক্রটি ওই আসামির জামিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে জব্দ তালিকায় ১৮০ পিস ইয়াবা দেখিয়ে দাখিল করে। ওই আসামি পরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান।
গত বছরের আগস্টে রাজধানীর মুগদা থানায় মো. হাসান নামে একজনকে ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে আসামির কাছে ১৮০ পিস ইয়াবা জব্দ দেখিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত করে চক্রটি।
আব্দুল বাতেন বলেন, ‘কারো সঙ্গে শত্রুতার জেরে কারো বিরুদ্ধে ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করে থানায় পাঠানোর ঘটনাও ঘটিয়েছে চক্রটি। তারা আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে আদালত অবমাননার মতো গর্হিত কাজও করেছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হবে’।
‘পরে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা আর কতো মামলার জামিন করিয়েছেন বা এ চক্রের সঙ্গে আরো কারা জড়িত, এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে’।
ভুয়া জামিননামা ফের যাচাইয়ের কোনো ব্যবস্থা আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো চেক করার দায়িত্ব আমাদের না। প্রতিদিন শত শত আসামি জামিন পান। নির্দিষ্ট অভিযোগ না পেলে বিষয়টি নিয়ে আমাদের করার কিছু নেই’।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
পিএম/এএসআর
** বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে জামিন, আটক ২