ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘ভুয়া কাগজে জামিন করাচ্ছে চক্রটি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
‘ভুয়া কাগজে জামিন করাচ্ছে চক্রটি’ স্বাক্ষর ও সিল জালিয়াতি করে তৈরি ভুয়া জামিননামা/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টসহ বিভিন্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্বাক্ষর ও সিল জালিয়াতি করে ভুয়া জামিননামা তৈরি করা হয়। এরপর কারাগারে পাঠিয়ে বিভিন্ন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আবার বিভিন্ন মামলার এজাহার, জব্দ তালিকা ও অভিযোগপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে পরিবর্তনের পর তা আদালতে উপস্থাপন করে আসামির জামিনের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। রাজধানীতে এ অনৈতিক কাজের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর বংশাল থানার চাঁনখারপুল এলাকা থেকে ওই জালিয়াত চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আটককৃতরা হলেন- অ্যাডভোকেট মো. আ. সামাদ ও তার মুহুরি মো. বনি আমিন।

আটককৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন আদালতের বিচারক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলদের সিলসহ মোট ৮১টি সিল এবং জালিয়াতির মাধ্যমে জামিনে মুক্ত করে আনা ১৩টি মামলার কাগজপত্র জব্দ করা হয়ে।

রোববার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি’র যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।

আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বিশেষ করে মাদক মামলার আসামিদের জামিনের ব্যবস্থা করছে চক্রটি।

আব্দুল বাতেন জানান, গত বছরের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানায় ফজলুল করিম নামের একজনকে আসামি করে ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে জালিয়াত চক্রটি ওই আসামির জামিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে জব্দ তালিকায় ১৮০ পিস ইয়াবা দেখিয়ে দাখিল করে। ওই আসামি পরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান।

গত বছরের আগস্টে রাজধানীর মুগদা থানায় মো. হাসান নামে একজনকে ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে আসামির কাছে ১৮০ পিস ইয়াবা জব্দ দেখিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত করে চক্রটি।

আব্দুল বাতেন বলেন, ‘কারো সঙ্গে শত্রুতার জেরে কারো বিরুদ্ধে ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করে থানায় পাঠানোর ঘটনাও ঘটিয়েছে চক্রটি। তারা আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে আদালত অবমাননার মতো গর্হিত কাজও করেছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হবে’।

‘পরে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা আর কতো মামলার জামিন করিয়েছেন বা এ চক্রের সঙ্গে আরো কারা জড়িত, এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে’।

ভুয়া জামিননামা ফের যাচাইয়ের কোনো ব্যবস্থা আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো চেক করার দায়িত্ব আমাদের না। প্রতিদিন শত শত আসামি জামিন পান। নির্দিষ্ট অভিযোগ না পেলে বিষয়টি নিয়ে আমাদের করার কিছু নেই’।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
পিএম/এএসআর

**
বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে জামিন, আটক ২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।