রোববার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর' শীর্ষক এক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাব এ সংলাপ আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, এই সফরে আমাদের প্রস্তাবগুলোকে সেখানকার সরকার, সুশীল সমাজ, এমনকি বিরোধী দলগুলো সমর্থন করেছে। তারা বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান হওয়া উচিৎ।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রটোকল ভেঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে শুধু স্বাগতমই জানায়নি, সে দেশের মিডিয়ার সামনে বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে এগিয়ে গেছে।
সে দেশের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বলেছেন, তার রাজনৈতিক জীবনে দেখা সময়ের মধ্যে বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সব বক্তব্য থেকে আপনারাই বিশ্লেষণ করুণ প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক কোনো পর্যায়ে গিয়েছে।
এ সফরের সফলতা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ, ভারত এবং ভুটানের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি হয়েছে। শুধু তাই নয়, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারতের যে সহযোগিতা লাগবে সেটির সম্মতিও আমরা পেয়েছি।
কেউ বলছেন, এই সফরে সীমান্ত হত্যা বন্ধ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই, ভারতের সঙ্গে আমাদের যে ৬২ দফা স্বাক্ষরিত হয়েছে তার ২০ দফায় এই বিষয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য রয়েছে।
দেশের সব রাজনৈতিক দলের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, শুধু ভারত নয় যে কোনো দেশের সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রকে সস্তা রাজনৈতিক ইস্যু বানাবেন না। এতে নিজ দেশের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়।
কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার আগেই তা প্রকাশের নজির বিশ্বের কোথাও নেই বলেও জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় সংলাপে আরো অংশ নেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল(অব.) হারুন অর রশিদসহ সিনিয় সাংবাদিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
এমএ/জেডএম