রোববার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে ‘বাংলাদেশ অ্যান্ড রিজিওন্যাল কানেকটিভিটি’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ’ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিআইএলআইএ) তাদের অডিটোরিয়ামে এ সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, যখনই কানেকটিভিটি চালু করার কথা ওঠে তখনই রাজনীতি ও আস্থার অভাব বাধা হিসেবে দেখা দেয়। এটি উৎরানো এ অঞ্চলের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। অনেকে বর্ডার বিশ্বাস করেন না। তবে স্বাধীন দেশের বাউন্ডারি থাকতে হয়। ইউরোপ যা করতে পেরেছে তা এ অঞ্চলে সফল করতে সময় লাগবে। অনেক সময় অনেক পরিকল্পনাই ভেস্তে যায় বিশেষ কোনো রাষ্ট্রের শেষ সময়ে কারণ ছাড়াই অসহযোগিতার জন্য।
বিআইএলআইএ’র পরিচালক আইনজীবী ড. শাহদিন মালিকের সঞ্চালনায় এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব
অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএস) চেয়ারম্যান রাষ্টদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ, সিপিডি'র সম্মানিত ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান।
রাষ্ট্রদূত ফয়েজ আহমদ বলেন, মানুষে মানুষে মিলন এবং সব কিছু উন্মুক্ত করে দেওয়ার মধ্যেই কানেকটিভিটি জড়িত। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হলো নিয়ম কানুন সহজ করলেই এটি সহজতর হয়। বর্তমান বিশ্বে শুধু মানুষে মানুষে নয় এখন মানুষ যুক্ত হচ্ছে আইটি, তথ্য, জ্বালানি দেওয়া নেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমে।
তিনি বলেন, ব্যক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নামে কড়াকড়ি আরোপ করা কানেকটিভিটিকে সংকীর্ণ করে তোলে। কিছুদিন আগেও ভিসা, পাসপোর্ট ছিল না। চীনের প্রাচীর সেই যুগে বাস্তবতা হলেও আজ এ ধরনের অবস্থায় মানুষ নেই।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কানেকটিভিটি প্রধানত অর্থনৈতিক বিষয়। এটি উইন উইন গেম। আমরা বাংলাদেশকে বেশ কিছু বিষয়ে যোগাযোগের করিডর হিসেবে গড়ে তুলতে পারি, যদি এটিকে অর্থনৈতিকভাবে সফল করা যায় তো। কলকাতা থেকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে কুংমিং পর্যন্ত যোগাযোগই হতে পারে এর প্রধান উৎস। তবে তার আগে চিন্তা-ভাবনা করে পরিকল্পিত কৌশল প্রণয়ন জরুরি। ট্রান্সপোর্ট কানেকটিভিটি যদি উন্নত হয় তাহলে আমদানি রফতানি দুটাই বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
কেজেড/আইএ