রোববার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেট, মিরপুর -১০ গোল চত্বর, ও শাহবাগে গিয়ে জানা যায় সিটিং ভাড়া আদায়ের এমন চিত্র।
যাত্রীদের অভিযোগ, সিটিং বা গেটলক সার্ভিস বন্ধ হলেও বন্ধ হয়েনি সিটিং ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য।
মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে বিহঙ্গ পরিবহনের যাত্রী আব্দুল সালাম বাংলানিউজকে বলেন, আমি সদরঘাট থেকে মিরপুর ১০ আসলাম। আমার কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হলো ৩০ টাকা। সিটিং বন্ধ হলেও ভাড়া নেওয়া হচ্ছে আগের মতোই। এ অবস্থা থেকে যাত্রীদের উত্তরণে বাসে মোবাইল কোর্ট চালুর দাবি জানান।
ভাড়া বেশি নিচ্ছেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে বাস চালক মনির ও হেলপার আক্কাস বলেন, ভাড়া বেশি নিচ্ছি না ম্যাডাম। নির্ধারিত ভাড়াই নিচ্ছি।
মিরপুর গোল চত্বরে দায়িত্ব পালন করছিলেন পুলিশ সার্জেন্ট মো. কাউসার আলম। তিনি বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের বিষয়টি অবগত করেছেন। কোনো যাত্রী যদি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেন তবে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।
শাহবাগে সময় নিয়ন্ত্রণ পরিবহনের যাত্রী ইমন ও মিলন বাংলানিউজকে বলেন, সিটিংবাস তুলে দেওয়ায় ভালো হয়েছে। কারণ এই সিটিং বাসগুলো সিটিংয়ের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আসছিলো। তবে লোকাল হওয়ার পরও ভাড়া আগের মতই আছে বলে অভিযোগ করেন তারা। মিরপুর থেকে ১৫ টাকা ভাড়া দিয়ে ফার্মগেট আসছেন বলেও অভিযোগ তাদের।
ওই দুই যাত্রী আরো বলেন , তবে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা কারা উচিত ছিল। ভাড়া ৭ টাকা করা বেশি হয়ে গেছে। আশা করি এ বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষ দেখবেন।
তবে সিটিং বাস তুলে দেওয়ায় ভিন্নমতও রয়েছে যাত্রীদের। বিহঙ্গ পরিবহনের যাত্রী নাবিলা ও ফাহমিদা জানান, সিটিং তুলে দিলেও ভাড়া সিটিংই দিতে হচ্ছে। লোকাল বাসে সিটিং ভাড়া দিয়ে চলতে হবে, এটা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।
সিটিং ভাড়া আদায়ের বিষয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, একটি নতুন নিয়ম যখন চালু হয় তখন তা কর্যকর হতে একটু সময় লাগে। আর আমরা মাঠে কাজ করছি। প্রাথমিক অবস্থায় কিছু সমস্যা হলেও তা সমাধান হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেন জানান, আমরা রাস্তায় দায়িত্ব পালন করছি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
আরএটি/বিএস