রোববার (১৬ এপ্রিল) রাতে গণভবনে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি পুরস্কারের চেক তুলে দেন।
সবাইকে এক লাখ টাকার পুরস্কারের চেক তুলে দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে স্বর্ণজয়ী তিন ক্রীড়াবিদ ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত, সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা ও এয়ারগান শ্যুটার শাকিল আহমেদের হাতে প্রতিশ্রুত ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষে সুইমিং ফেডারেশনকে এক কোটি টাকা, হকি ফেডারেশনকে এক কোটি টাকা, বাংলাদেশ ওডিআই ও টি-২০ ক্রিকেট দলকে ৫০ লাখ টাকা করে এক কোটি টাকা, টেস্ট ক্রিকেট দলকে এক কোটি টাকা, বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলকে ১০ লাখ টাকা, অধিনায়ক সাবিনা খাতুনকে ১ লাখ টাকা, বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের হেড কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় মাশরাফি বিন মোর্তজা, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, মাহমুদ উল্লাহ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনসহ ৩৩ জন খেলোয়াড়।
নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক জাহানারা আলমসহ ২১ জন, নারী ফুটবলে ২৬ জন, অনুর্ধ্ব-১৪ ফুটবলে ২১ জন, বাংলাদেশ বধির ক্রিকেটে ১৮ জন, স্পেশাল অলিম্পিকস উইন্টার ওর্য়াল্ড গেমস-এ অংশ নেওয়া বাংলাদেশ দলের ৩৮ জন, বালক ও বালিকা তীরন্দাজ দলের ২০ জন, এশিয়ান জোনাল দাব চ্যাম্পিয়নশিপ-২০১৭ এ অংশ নেওয়া বাংলাদেশ দলের ১৪ জন, পুরুষ ও নারী রোলার স্কেটিং-এ ২৮ জন, নারী ও পুরুষ হ্যান্ডবলে ৩১ জন, বাংলাদেশ হকি দলের ৩৫ জন, সাঁতারে ছয়জন, বাংলাদেশ শ্যুটার দলে ২২ জন, ভারোত্তোলনে দুইজন, ভলিবলে ১৪ জন, জুনিয়র নারী ব্যাডমিন্টনে নয়জন এবং বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেন আর্ন্তজাতিক গলফচ্যাম্পিয়নশিপ-২০১৭ এর রানার-আপ সিদ্দিকুর রহমান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রায় সব ক্রীড়াবিদ ছাড়াও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেণ শিকদার, উপ-মন্ত্রী আরিফ খান জয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুলহাসান পাপনসহ সংশ্লিষ্ট সচিব, ক্রীড়া সংগঠক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাত পৌনে আটটার সময় শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সবার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
গণভবনে আসার জন্য হওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের উপস্থিতিতে গণভবনের মাটি ধন্য হয়েছে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সবার হাতে একটু ক্ষুদ্র উপহার তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে খেলোয়াড়রা বাংলাদেশকে সম্মানজনক জায়গা নিয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সাফল্য অর্জন করেছি, আরও অনেক দূর যেতে হবে।
‘একটু সুযোগ দিলে, আমাদের ছেলেমেয়েরা যে সোনার ছেলেমেয়ে; তা প্রমাণ করতে পারে। ’
লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাছাড়া একটা জাতি সুস্থভাবে গড়ে উঠতে পারে না।
দাদা, বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের ক্রীড়া অনুরাগের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমি সেই পরিবারেরই মেয়ে, খেলাধুলার প্রতি আমার একটা আকর্ষণ রয়েছে।
খেলাধুলার প্রসারে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, খেলাধুলার প্রসার ঘটাতে যা যা করণীয় সরকার তা তা করবো।
সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সুপ্ত মেধা রয়েছে, সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে। বিকশিত করবার সুযোগ দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬/ আপডেট: ০১১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৭
এমইউএম/এসএনএস