ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

যশোরে জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
যশোরে জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি যশোরে জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি

যশোর: বর্ষা মৌসুমের আগেই যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। শিগগিরই পদক্ষেপ না নিলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো আন্দোলনেরও হুমকি দিয়েছে।

রোববার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে শংকরপুর বটতলা মসজিদ এলাকায় এক বৈঠকে এ দাবি জানান এলাকাবাসী।

স্থানীয় কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে সভায় বক্তারা বলেন, গোটা শহরের পানি শহরের শংকরপুর এলাকার দিয়ে প্রবাহিত হয়ে হরিণার বিলের মাধ্যমে মুক্তেশ্বরী নদীতে গিয়ে পড়ে।

কিন্তু অপরিকল্পিত উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা, রাস্তার পাশের সরকারি জমি দখল করে ড্রেন সংকুচিত করা, শংকরপুর বাইপাস সড়কে নির্মিত কালভার্টের মুখগুলো সংকুচিত হওয়া এবং হরিণার বিলে নানাভাবে পানি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় দ্রুত গতিতে পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। এ কারণে প্রায় ১০ বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে শংকরপুর জমাদ্দার পাড়া থেকে শংকরপুর বটতলা মসজিদ পর্যন্ত বিস্তৃর্ণ এলাকার কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

এছাড়া পৌরসভার ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পানি বিকল্প দিক দিয়ে ভৈরব ও মুক্তেশ্বরীতে ফেলার উদ্যোগ না নেয়ায় সেই পানিও এসে জড়ো হয় এ এলাকায়। ফলে বর্ষা মৌসুমে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় এলাকার সহস্রাধিক পরিবারকে।

বক্তারা বলেন, যখন জলাবদ্ধতা দেখা দেয় তখন রান্না, খাওয়া, ঘুমানো সব বন্ধ হয়ে যায়। সাপ, পোকা মাকড় ও গবাদি পশুর সাথে বসবাস করতে হয়। আমাদের ধারণা এবার যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে বর্ষার শুরুতেই এলাকা ছাড়তে হবে। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

সভার বক্তব্য রাখেন পৌর কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, প্রকল্প ছাড়া এত বড় কাজ করা দুরূহ ব্যাপার। তারপরও আমি মেয়রের সাথে কথা বলে শিগগিরই ড্রেনগুলো খননের উদ্যোগ নেবো।

সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বাসিন্দা রোকন ব্যাপারী, হাফিজুর রহমান মাস্টার, সেলিম মিয়া, রশিদ মিয়া, সাংবাদিক জুয়েল মৃধা প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর পৌরসভার সাবেক প্রকৌশলী ফকরুল হুদা, আক্তার হোসেন, সাংবাদিক মীর মঈন হোসেন মুসা, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মিলন, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আসাদ, ডা. শিমুল হোসেন, মিন্টু হোসেন, হাবিবুর রহমান, রাজু হোসেনসহ এলাকার সর্বস্তরের বাসিন্দা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
ইউজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।