রোববার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে শংকরপুর বটতলা মসজিদ এলাকায় এক বৈঠকে এ দাবি জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে সভায় বক্তারা বলেন, গোটা শহরের পানি শহরের শংকরপুর এলাকার দিয়ে প্রবাহিত হয়ে হরিণার বিলের মাধ্যমে মুক্তেশ্বরী নদীতে গিয়ে পড়ে।
এছাড়া পৌরসভার ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পানি বিকল্প দিক দিয়ে ভৈরব ও মুক্তেশ্বরীতে ফেলার উদ্যোগ না নেয়ায় সেই পানিও এসে জড়ো হয় এ এলাকায়। ফলে বর্ষা মৌসুমে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় এলাকার সহস্রাধিক পরিবারকে।
বক্তারা বলেন, যখন জলাবদ্ধতা দেখা দেয় তখন রান্না, খাওয়া, ঘুমানো সব বন্ধ হয়ে যায়। সাপ, পোকা মাকড় ও গবাদি পশুর সাথে বসবাস করতে হয়। আমাদের ধারণা এবার যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে বর্ষার শুরুতেই এলাকা ছাড়তে হবে। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
সভার বক্তব্য রাখেন পৌর কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, প্রকল্প ছাড়া এত বড় কাজ করা দুরূহ ব্যাপার। তারপরও আমি মেয়রের সাথে কথা বলে শিগগিরই ড্রেনগুলো খননের উদ্যোগ নেবো।
সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বাসিন্দা রোকন ব্যাপারী, হাফিজুর রহমান মাস্টার, সেলিম মিয়া, রশিদ মিয়া, সাংবাদিক জুয়েল মৃধা প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর পৌরসভার সাবেক প্রকৌশলী ফকরুল হুদা, আক্তার হোসেন, সাংবাদিক মীর মঈন হোসেন মুসা, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মিলন, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আসাদ, ডা. শিমুল হোসেন, মিন্টু হোসেন, হাবিবুর রহমান, রাজু হোসেনসহ এলাকার সর্বস্তরের বাসিন্দা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
ইউজি/এমজেএফ