পরিবহন সঙ্কটে নাকাল হয়ে ক্ষোভে দুঃখে কথাগুলো বাংলানিউজকে বলছিলেন রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা সাজ্জাত হোসেন।
ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৬ এপ্রিল থেকে রাজধানীতে গণপরিবহনে ‘সিটিং সার্ভিস’ বন্ধ হয়েছে।
সাজ্জাত হোসেনের মতো রাজধানীর সব বাসিন্দাই অঘোষিতভাবে পরিবহন ধর্মঘটের ভোগান্তিতে কাতরাচ্ছেন।
রাজধানীর ফার্মগেটে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী সাইফুল হক বাংলানিজকে বলেন, পরিবহন সেবা মানুষের জন্য নাকি মানুষ পরিবহন মালিকদের সেবার জন্য? পরিবহন মালিকরা কাউকে কেয়ার করছে না। তাদের এ সব অপেশাদার আচরণের কারণে পরিবহন সেবা খাতটি জনবান্ধব না হয়ে জন্য দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। গণপরিবহন মানেই এখন ভোগান্তি।
রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী সিফাৎ আরা শারমিন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দেশের সব থেকে বাজে মানুষগুলো হয় তো পরিবহন খাতের সঙ্গে জড়িত! তা না হলে একটি বৈধ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে তারা দুই দিন ধরে এমনভাবে মানুষদের ভোগাতে পারে। সংসদ ভবন এলাকা থেকে মিরপুরগামী রোডটি রাজধানীতে সব চেয়ে বেশি ব্যস্ত। কিন্তু আজ দেখেন প্রায় দুই ঘণ্টায় মাত্র ২টি বাস গিয়েছে। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই এই সব অসাধু মালিকদের যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করার জন্য কঠিন শাস্তি দেই।
উল্লেখ্য, ১৬ এপ্রিল থেকে সিটিং সার্ভিস বন্ধ হওয়ার পর থেকে গণপরিবহনের সঙ্কট দেখা যায়। ১৭ এপ্রিল সকাল থেকে এর মারাত্মক প্রভাব পড়ে রাজধানীতে। গণপরিবহন না থাকায় কর্মস্থলগামী মানুষদের ভোগান্তির শেষ নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়েও তারা কোনো গণপরিবহন পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ সময়:১৬১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭,২০১৭
এমএ/আরআই