সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, ছোট ছোট সন্তান নিয়ে বাবা-মা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু কোনো গাড়িতেই উঠতে পারছেন না।
সরেজমিন এই চিত্র দেখা দেখা গেছে- ফার্মগেট, মহাখালী, বনানী, শাহবাগ, শ্যামলীসহ বিভিন্ন সড়কে।
মহাখালীতে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় ষাটোর্ধ্ব আনসার আলীর। তিনি বলেন, প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থেকে আর পারছি না। তাই রাস্তার ওপরেই বসে পড়লাম।
তিনি বলেন, এ কোনো দেশ! দেখার কেউ নাই নাকি? কোনো কিছু হলেই যত কষ্ট সাধারণ মানুষের। সরকার বেশি করে বাস দিলেই তো হয়।
ফার্মগেটে বাস বে’তে রাসেল মাহমুদ বলেন, তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে গাড়ি পাইনি। যাত্রাবাড়ী যাবো। একা থাকলে কোনো বাসে হয়তো ঝুলেই যেতাম। কিন্তু সঙ্গে বউ বাচ্চা থাকায় কোনো বাসেই ওঠতে পারছি না। গাড়ি যা এসে দাঁড়াচ্ছে, এতো ভিড় যে কোনোভাবেই ওঠার উপায় নেই। সময় এসেছে বেশি করে বিআরটিসি বাস নামানোর। এতে বেসরকারি পরিবহন এমনিতেই মানুষ ছেড়ে দেবে। শুনেছি ভারতেও নাকি রাষ্ট্রীয় পরিবহন অনেক বেশি। মানুষও সেগুলোতেই বেশি ওঠে।
বনানী সিগন্যালে একটি বাস এলে তার পেছনে অন্তত ২০ জনকে ছুটে যেতে দেখা গেছে। দু’জন নামলে পাঁচ জন ওঠার চেষ্টা করছেন। দু’জন ভেতরে ঢুকলে তিনজন ঝুলে থাকছেন। এভাবেই ছুটে চলছে বাস। এ চিত্র নিত্য দিনের। তবে অন্যদিন এভাবে দুই তিনবার ট্রাই করে কোনো কোনো বাসে ওঠা যায়। কিন্তু আজ আর পারা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য ছুঁড়ে দিলেন বেসরকারি এক কোম্পানি কর্মকর্তা রেজাউল কবীর।
তিনি বলেন, আজকে বিআরটিসি বাস যদি বেশি করে থাকতো, তবে নিয়ম মেনে গাড়িতে চড়া যেতো। এই বেসরকারি পরিবহনগুলো কোনো কিছু হলেই রাস্তায় গাড়ি নামানো বন্ধ করে দেয়। এতে সমস্যা যতো হয় সাধারণ মানুষের।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৭
ইইউডি/জেডএম