সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা চত্বরে নালিতাবাড়ী উপজেলার ৮ নম্বর ইউনিয়নের ৬৫০ জন কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।
কৃষি প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরফদার সোহেল রহমান।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ী, ঢাকার সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ চৈতন্য কুমার দাস।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর. ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ অমিতাভ দাস, শেরপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন, নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হোসেন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস আছমত আরা আছমা, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াজকুরুনী প্রমুখ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফ ইকবাল বাংলানিউজকে জানান, উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের ১৭০ জন, নন্নী ইউনিয়নের ১১০ জন, নয়াবিল ইউনিয়নের ৬০, রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের ৭০ জন, কাকরকান্দি ইউনিয়নের ১১০ জন, নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের ৩০ জন, রূপ নারায়ণকুড়া ইউনিয়নের ৭০ জন ও বাঘবেড় ইউনিয়নের ৩০ জনসহ মোট ৬৫০ জন কৃষক আউশ চাষে প্রণোদনা পাবেন।
এর মধ্যে ৫০০ জন কৃষক উফশী আউশ ধান আর ১৫০ জন কৃষক নেরিকা আউশ ধান চাষের জন্য প্রণোদনা পাবেন।
এ কর্মসূচির আওতায় প্রতিজন কৃষক প্রতি বিঘা উফশী ধান আবাদের জন্য ৫ কেজি ধান বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার ও সেচের খরচ বাবদ ৪০০ টাকা প্রণোদনা পাবেন।
আর প্রতিজন কৃষক প্রতি বিঘা নেরিকা ধান আবাদের জন্য ১০ কেজি ধান বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার, আগাছা দমনের জন্য ৪০০ টাকা ও সেচের খরচ বাবদ ৪০০ টাকা পাবেন।
বীজ ও সার কৃষকরা সরাসরি গিয়ে গ্রহণ করেন। আর আগাছা দমন ও সেচ সহায়তা বাবদ অর্থ সংশ্লিষ্ট কৃষকের নিজস্ব মোবাইলে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট (রূপালি ব্যাংক লিমিটেডের শিউর ক্যাশ) এর মাধ্যমে স্থানান্তর করা হবে।
এ কর্মসূচির আওতায় নালিতাবাড়ী উপজেলায় ৬৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে কৃষি উপকরণ (বীজ ও সার) এবং সেচ ও আগাছা দমনের অর্থ বাবদ সর্বমোট ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৭
আরবি/