অসঙ্গতির এখানেই শেষ নয়। গণপরিবহনে সংরক্ষিত নারী আসনে পুরুষ যাত্রী বসলে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে মিরপুরগামী খাজাবাবা পরিবহনে এ চিত্র দেখা যায়।
কতিপয় সচেতন যাত্রী পিছন থেকে এ দৃশ্য দেখে ওই নারীকে সংরক্ষিত আসনে বারবার বসানোর কথা বললে এক পর্যায়ে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। তারপরও সুরাহা হলো না বিষয়টির। দাঁড়িয়েই গন্তব্যে যেতে হলো ওই নারীকে।
কথা হলো আইন করে যদি তার প্রয়োগ না হয়, দেখার কেউ না থাকে তাহলে লাভ কী? এ প্রশ্নের জবাব মেলে না কারও কাছে।
কিছুক্ষণ পর এক ব্যক্তি কন্ডাক্টরকে বলে উঠলেন, আমাদের কাছ থেকে সিটিংয়ের ভাড়া নিয়েছো। এখন লোকালের মতো যাত্রী বোঝাই করছো কেন? তখন কন্ডাক্টরের বক্তব্য, আমাদের বাস সিটিং না। আমরা লোকাল। এতে বসা যাত্রীরা উত্তেজিত হলেও লাভের লাভ কিছু হলো না। কারণ তাদের কাছে সিটিংয়ের সমান ভাড়া আদায় করা হয়েছে।
মাহবুবুর রহমান নামে এক যাত্রী কন্ডাক্টরকে মোবাইল থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট দেখালে কন্ডাক্টর তাকে উপেক্ষা করে বলেন, আমরা এসব মানি না। যা করার পারলে করেন।
এভাবেই চলছে কথিত বন্ধ হওয়া সিটিং সার্ভিসের অনিয়ম। সিটিং নামে পরিবর্তন হলেও যায়নি তাদের সেই গলাকাটা আচরণ।
এদিকে রাজধানীর গুলিস্তান হয়ে মিরপুরগামী ওয়েলকাম, শিখর, বিহঙ্গসহ সিটিং নামধারী বেশকিছু পরিবহনে সিটিং শব্দটি বাদ পড়লেও যাত্রীদের থেকে আদায় করছে বাড়তি ভাড়া। সর্বনিম্ন ভাড়া মিনিবাসে ৫ টাকা ও বড় বাসে ৭ টাকা বলা হলেও তারা সর্বনিম্ন ভাড়া আদায় করছে ১০ টাকা বা তারও বেশি।
এভাবেই চলছে সিটিং থেকে লোকাল বনে যাওয়া নতুন চিটিং!
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ১৭ এপ্রিল ২০১৭
এএম/এএ