সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে শরণখোলা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জলিল বাংলানিউজকে জানান, মোবাইলে শরণখোলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মধ্য বানিয়াখালী গ্রামের এক তরুণীর (১৭) সঙ্গে পাশ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা গ্রামের আলাউদ্দিনের (৩৫) পরিচয় হয়।
এসময় স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি আলাউদ্দিনকে আটক করে ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খাঁনকে খবর দেন। চেয়ারম্যান সেখানে গেলে এলাকার কিছু যুবক আলাউদ্দিনকে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে বিচার দাবি করেন। এসময় মহিউদ্দিন খাঁন মধ্য বানিয়াখালী গ্রামের শহিদের চায়ের দোকানের সামনে গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) ইসমাইল হোসেনকে দিয়ে প্রকাশ্যে আলাউদ্দিনের গোপনাঙ্গে ইট বেঁধে কয়েক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে অর্থের বিনিময়ে আলাউদ্দিনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, আলাউদ্দিনকে নির্যাতনের কিছু ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। বিচারের নামে আইন হাতে তুলে নিয়ে এমন বর্বরতার বিষয়টি নজরে আসলে পুলিশ বাদি হয়ে মহিউদ্দিন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অঙ্গহানির মাধ্যমে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা পুলিশের কাছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৭
এনটি