ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সড়কে নির্মাণ কাজে ঢিলেমি, জনদুর্ভোগ চরমে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৭
সড়কে নির্মাণ কাজে ঢিলেমি, জনদুর্ভোগ চরমে সড়কে নির্মাণ কাজে ঢিলেমি, জনদুর্ভোগ চরমে

রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীর আলুপট্টি থেকে তালাইমারী সড়ক চারলেনে রূপান্তরের কাজ শুরু হয়েছিল গেলো ডিসেম্বরে। কিন্তু পাঁচ মাসেও শেষ হয়নি ভূমি অধিগ্রহণের কাজ। এই ঢিলেমিতে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে।

এরই মধ্যে শহররক্ষা বাঁধ ঘেঁষে থাকা পুরনো ড্রেন ভেঙে ফেলা হয়েছে। শেষ হয়নি তার কাজও।

ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ না হওয়ায় এই সড়কটি চারলেনে উন্নীত করার নির্মাণ কাজ ঠিক কবে নাগাদ শেষ হবে বলতে পারছে না খোদ সিটি করপোরেশন। উল্টো সময়সীমা বাড়ানোর কথা ভাবছেন কর্মকর্তারা।

আলুপট্টি-তালাইমারীর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত মহানগরীতে অসংখ্য হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচল করছে। শহরের পূর্ব পাশে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। রয়েছে অনেক সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই পূর্ব থেকে পশ্চিম পাশে ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহনে শিক্ষার্থীসহ কর্মব্যস্ত মানুষ চলাচল করে এই পথ দিয়ে। অথচ জনগণের দুর্ভোগের কথা না ভেবে এবং ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ না করেই ড্রেন ভেঙে ফেলা হয়েছে। কাজও চলছে ধীর গতিতে।

এতে সাধারণ মানুষের চলাচলে যেমন বাধা সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি বাড়ছে দুর্ঘটনা। এরই মধ্যে হাদির মোড়, কেদুর মোড় ও বাশার রোড পয়েন্টে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। নির্মাণ কাজের কারণে রাস্তা সরু হওয়ায় ছোট-খাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে। আর অফিস শুরু ও ছুটির সময় দেখা দিচ্ছে যানজট।

মহানগরীর বোসপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাজেমুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গত ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে দুর্ভোগ।

সড়কে নির্মাণ কাজে ঢিলেমি, জনদুর্ভোগ চরমে

মহানগরীর হাদির মোড় এলাকার অধিবাসী আহমেদ রুসেল বাংলানিউজকে বলেন, এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ড্রেনের কাজটি শিগগিরই শেষ করা দরকার। তবে কবে নাগাদ কাজটি শেষ হবে কেউ বলতে পরছেন না। এর উপর আলুপট্টি-তালাইমারী রাস্তাটির প্রশস্তকরণের কাজও রয়েছে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৫ সালের ১৯ মে একনেকের সভায় রাজশাহীর আলুপট্টি-তালাইমারী সড়কটি চারলেন করার প্রকল্প পাস হয়। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়নি। তাই প্রকল্পের সময়সীমা আরও দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাবের কথা ভাবছেন তারা।

আশরাফুল হক বলেন, এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১শ’ ২৭ কোটি ৪৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। বর্তমানে রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে। জমি অধিগ্রহণের কাজও শুরু হয়েছে। এসব কাজ শেষ হলেই সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৭
এসএস/আরআর/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।