স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ মেয়ে সামিয়া আলম (১২) ও গৃহবধূ আমেনা খাতুন সুমাকে উদ্ধার করে সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রেখেছে।
স্থানীয়রা জানান, বাসার দরজা বন্ধ করে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন আমেনা।
পুলিশ জানায়, আমেনার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার উপজেলায়। প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে পার্শ্ববর্তী ছাতক উপজেলার দেবাশীষ নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে শহরে থাকেন। প্রথম স্বামীর সন্তান সামিয়া আলমসহ (১২) ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন তারা। দ্বিতীয় সংসারে তার ৫ বছরের আরেকটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
কিছুদিন আগে তার প্রথম স্বামী আলম মিয়া কৌশলে স্ত্রীর কাছ থেকে তার সন্তানকে নিয়ে যান। আর এদিকে তার স্বামী তাকে তালাক দিয়েছেন জানতে পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আগুনে কিছু আসবাবপত্র ও কাপড়চোপড় পুড়ে গেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সিসিকের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েছ লোদি। তিনি থানায় খবর দিলে সিলেট মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মা-মেয়েকে উদ্ধার করে ভিকটিম সার্পোট সেন্টারে নিয়ে যায়।
সিলেট এয়াপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না আমেনার। এছাড়া আলমও খবর রাখেনি তাদের। ফলে বাসা ভাড়া নিয়ে বিপাকে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। পূনরায় যাতে দুর্ঘটনা না ঘটান, এ জন্য তাদের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৭ ঘণ্টা,এপ্রিল ১৭, ২০১৭
এনইউ/বিএস