এতোবার থামা এবং মন্থর গতির কারণ জানতে চাইলে চালক ও হেলপারের উত্তর, ‘লোকাল বাসের কোনো নিয়ম নাই’।
যাত্রীদের সঙ্গে আচরণে কিছুটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
তবে কিছুদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে ধারণা করছেন যাত্রীরা। একজন ব্যাংক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, সিটিংয়ের নামে যে নৈরাজ্য চলছিল, সেটা বন্ধ হওয়ায় মালিকরা অসন্তুষ্ট। কিন্তু তারা কয়দিন আর বাস বন্ধ রাখবে। শ্রমিকদেরওতো খেতে হবে। দেখবেন ঠিকই বাস নামাবে। আর এখন সবারইতো যেতে হবে। বাসেও উঠতে হবে।
মিরপুর-১০ নম্বর থেকে কুড়িলের বাস বিহঙ্গ পরিবহন। এ বাসের সর্বোচ্চ ভাড়া ২৭ টাকা হলেও শ্যাওড়াপাড়া থেকে গুলশান-১ এর ভাড়া চাইছে ২৫ টাকা। নারী-শিশু আসনও মানছে না বাস কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে বাসের কন্ডাকটর সোহেল ঔদ্ধত্য স্বরে বলেন, লোকাল বাসে আবার কিসের নারী আসন। যে যেমনে পারে যাবে।
যাত্রার তাড়া থাকায় এবং বাসের সংকট থাকায় মানুষ অনেকটা জিম্মি হয়েই মেনে নিচ্ছেন এ অত্যাচার।
শুধু যেমন খুশি তেমন চালানোই নয়, ভাড়াও আদায় করছেন ভুতুড়ে নিয়মে। চালক ও হেলপাররা যেখান থেকে বাস যাত্রা করেছেন সেখান থেকে দূরত্ব হিসেবে ভাড়া চাইছেন। মিরপুর-১০ থেকে আগারগাঁওয়ের দূরত্ব ৪ কিলোমিটারের কম হলেও ভাড়া চাইছেন ১০ টাকা। সর্বনিম্ন ভাড়া ৭ টাকাও মানছেন না।
এখন বাসে উঠলেই ১০ টাকা দিতে হবে বলে জানান ৩৬ নং বাসের হেলপার রহিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৭
এমএন/জেডএস