বুধবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ ভবনে (আইইবি) বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর সরকার প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন ধান কিনেছিল।
ধান কেনার সময় কোনো মধ্যসত্ত্বভোগী থাকবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যাদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে প্রতিটি গোডাউনে কৃষকদের নামের তালিকার সঙ্গে ব্যাংক একাউন্টও থাকবে। চেকের মাধ্যমে কেনা ধানের মূল পরিশোধ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ধান সংগ্রহের সময় মাঠ পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তা দুর্নীতি করেন। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটা আমাদের অঙ্গীকার।
মিল মালিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আমরা মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল কিনবো। তবে চালের মান অবশ্যই উন্নত হতে হবে। চাল নিম্ন মানের হলে মিল মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি, জামায়াত ও জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বর্তমানে আমরা বিদেশে চাল রপ্তানি করছি। ভূমিকম্পের সময় আমরা জাপানকে ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল সহযোগিতা দিয়েছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রশিদ এগ্রো ফুড প্রডাক্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রশিদ।
আরো উপস্থিত ছিলেন- খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. বদরুল হাসান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব কায়কোবাদ হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৭
আরএটি/আরআর/এসএইচ