আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন এ দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত বিপ্লবের পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার বড় ভাই আসাদ বুলবুল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিপ্লবের মেজ ভাই বকুল হোসেন, চাচাতো ভাই রেজাউল করিম, ফেরদৌস, দুলাভাই ফারুক আলম, বোন জলি আক্তার, ভাবি রূপালী বেগম, ফিরোজা বেগম, শাহনেহারসহ এলাকার সাধারণ লোকজন।
লিখিত বক্তব্যে বুলবুল বলেন, চলতি বছর ৩ মার্চ প্রকাশ্যে বিপ্লবকে হত্যা করে রনি মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। মতিহার থানার কিছু দূরে একজনকে হত্যা করে খুনি চলে গেলেও পুলিশ তাকে আটক করেনি। রনির ভাড়াটে সন্ত্রাসী সাইদুর আটক হলেও কিছুদিন পর জামিনে মুক্ত হয়। বর্তমান সাইদুর ও রনি একজোট হয়ে বিপ্লবের পরিবারকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। একইসঙ্গে রনি রাজশাহীতে থাকলেও পুলিশ বলছে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিপ্লবের সঙ্গে লিজার বিয়ের পর থেকে রনি নানাভাবে তাদের পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছিলো। তারা জমিজমা বিষয় নিয়ে বিপ্লবের পরিবারের লোকজনের ওপর মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দেয়। এছাড়াও রনি বারবার বিপ্লবকে হত্যার হুমকি দেয়। হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ মার্চ বিকেলে মতিহারের ধরমপুর কেডি ক্লাবের পাশে রনি ও সাইদুর মিলে বিপ্লবকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পরে বিপ্লবের মরদেহ নিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে। একই সঙ্গে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
কিন্তু দুইমাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ ‘অজ্ঞাত কারণে’ হত্যার মূল আসামি রনিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পরিবারের পক্ষে অতিদ্রুত খুনি রনিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৭
এসএস/জিপি/জেডএস