ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

৪ দিনেও বন্ধ হয়নি সিটিংয়ের হয়রানি, দ‍ুর্ভোগ চরমে

রীনা আকতার তুলি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
৪ দিনেও বন্ধ হয়নি সিটিংয়ের হয়রানি, দ‍ুর্ভোগ চরমে বন্ধ হয়নি সিটিংয়ের হয়রানি, দ‍ুর্ভোগ চরমে

মিরপুর ১০ নম্বর থেকে (ঢাকা): বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) ঘোষণার চার দিন পরেও বন্ধ হয়নি সিটিং সার্ভিস বাস। যত্রতত্র চলছে সিটিং বাসের ভাড়া আদায় আর সেই সঙ্গে বেড়েছে যাত্রীরদের দুর্ভোগ। সব মিলিয়ে গণপরিবহনে চলছে চরম বিশৃঙ্খলা।

সরেজমিনে বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে চোখে পড়ে লোকাল নামধারী সিটিং বাসের হয়রানি। সিটিং বাসগুলো ঘোষণার পরও লোকাল তো চলছেই না বরং আগের মতো বেশি ভাড়া নিয়ে চলেছে।

সরেজমিনে আরও দেখা মেলে, সকালে অফিস ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের প্রচণ্ড চাপ থাকে গণপরিবহণে। সেই সুযোগে বাসগুলো ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করে চলেছে। এছাড়া কম দূরত্বের যাত্রীও তারা গাড়িতে ওঠাতে নারাজ। উপায়ন্তর না পেয়ে এসব নৈরাজ্য মেনে নিয়েই বাসে চড়তে হচ্ছে। সব মিলিয়ে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে।

আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রেহেনা ইমতিয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাসা মিরপুর-১। সেখান থেকে প্রতিদিনই আমাকে যাতায়াত করতে হয়। সিটিং সার্ভিস তুলে দেওয়ায় স্কুলে যাতায়াত কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

ওই শিক্ষার্থী জানায়, স্কুল সকাল ৮টায় শুরু হওয়ায় বাসা থেকে সে আগে রওনা হতো সকাল ৭টায়। এখন সাড়ে ৬টায় রওনা দিয়েও সে স্কুলে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারেছে না।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ফমেমা ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এ দেশে নাগরিকদের তো মূল্যায়ন করা হয় না। এমন একটি জরুরি বিষয়ের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সাধারণ যাত্রীদের মতামতের গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিলো।

বন্ধ হয়নি সিটিংয়ের হয়রানি, দ‍ুর্ভোগ চরমে

তিনি অভিযোগ করেন, আমরা প্রতিনিয়ত রাস্তায় বের হলে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হই। সিটিং বাস বন্ধ হওয়ার চার দিনেও তা কার্যকর হচ্ছে না। বরং দুর্ভোগ বেড়েছে। আর নেই সঙ্গে হয়রানির সুযোগ আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, নারী ও স্কুলগামী শিক্ষার্থী বিষয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের ট্রাফিক সার্জেন্ট ইয়াহিয়া বাংলানিউজকে বলেন, সিটিং বন্ধের পর থেকে বাস কমে গেছে। মালিকরা সিটিং বন্ধের প্রতিবাদে তাদের অধিকাংশ বাসগুলো বন্ধ রেখেছে। এর ফলে যাত্রী হয়রানি বেড়েছে। বিশেষ করে নারী ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরমে।

তিনি জানান, কোনো যাত্রী যদি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ দেন এবং এর সত্যতা পাওয়া যায়, তবে আমরা মামলা দিয়ে থাকি। যাত্রীদের সেবা দিতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ফাহমিদা বেগম জানান, সিটিং বাস লোকাল হিসেবে চলছে অথচ ভাড়া রাখছে সিটিংয়ের মতো। এ ব্যাপারে কঠোরভাবে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখছি না।
 
এ নিয়ে মিরপুর-১০ নম্বরে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জন মো. ফজলু জানান, আমরা মনিটরিংয়ে রয়েছি এবং কোনো ধরনের অনিয়ম দেখা গেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।  

এ বিষয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মাশিয়ার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সব সমস্যা দূর করার জন্য আমরা কাজ করছি। দেশের প্রেক্ষাপটে এই লোকাল সার্ভিস কার্যকর করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে আমরা আশাবাদী।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
আরএটি/এসএনএস
 


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।