বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে শামীম মোল্লার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সুমি খাতুন শামীমের শোবার ঘরে বসে আছেন।
শামীম বাঘিয়া গ্রামের মো. আক্কাছ আলী মোল্লার ছেলে।
সুমি খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, দুই বছর আগে শামীমের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে শামীম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। কিন্তু আমি বিয়ে করার কথা বললেই সে নানান টালবাহানা করতে থাকে। দেড় মাস আগে শামীম দুই মাসের ছুটিতে বাড়িতে আসে। এরমাঝেও আমার সঙ্গে সে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। কিন্তু বিয়ের কথা বললে সে রাজী হয় না। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকালে আমি বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে এসে উঠেছি। কিন্তু আমি আসার পর বুধবার (১৯ এপ্রিল) শামীম বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই তিনদিন ধরে আমি শুধু পানি খেয়ে বেঁচে আছি। শামীম আমাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি অন্য কিছু খাবো না। আর যদি সে আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমি এই বাড়িতেই আত্মহত্যা করবো।
শামীম ও সুমির প্রেমের সম্পর্কের সত্যতা স্বীকার করে শামীমের বাবা আক্কাছ আলী মোল্লা ও বোন আকলিমা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা তাদের ভালোবাসাকে স্বীকার করে সুমিকে বাড়ির বউ হিসেবে মেনে নিতে চেয়েছি। এ বিষয়ে সুমির পরিবারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বুধবার (১৯ এপ্রিল) তাদের বিয়ে সম্পন্ন করার কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন বিকেল থেকেই শামীম পলাতক থাকায় তা আর সম্ভব হয়নি। শামীমের ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছি না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে মেয়েটি শামীমের বাড়িতে এসে অনশন করছে। ইতোমধ্যে এলাকার সবাই এ ঘটনা জেনে গেছে। আমরা বারবার শামীম ও তার পরিবারকে বলেছি মেয়েটিকে স্বীকৃতি দিয়ে ঘরে তুলে নিতে। কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনছেন না।
সুমির বাবা মো. বাবুল মিজি বাংলানিউজকে বলেন, দুই বছর ধরে আমার মেয়ের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে শামীম। এখন সে যদি আমার মেয়েকে বউ হিসেবে ঘরে তুলে না নেয় তাহলে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।
এ বিষয়ে সেনা সদস্য শামীমের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার মোবাইল নম্বরে ফোন দেওয়া হলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
এনটি/আরএ