এ জালিয়াতি বুঝতে পেরে অবশেষে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) মামলার মূল আসামিকে পাকড়াও করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া মূল আসামি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার নলছিড়া গ্রামের মৃত মইচ উদ্দিন শেখের ছেলে নজরুল ইসলাম। তার ‘বদলে’ কারাবাসে আছেন রিকশাচালক মোজাফফর রহমান। আর জালিয়াতিতে অন্যতম অভিযুক্ত নজরুলের বড় ভাই মজনু মিয়া।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু বকর সিদ্দিক ছানা বাংলানিউজকে জানান, এ মামলার মূল আসামি নজরুল হলেও তার বড় ভাই মজনু মিয়া গত ১০ এপ্রিল কৌশলে মোজাফফর রহমান নামে এক রিকশাচালককে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করিয়ে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। সেদিন থেকে মোজাফ্ফর কারাভোগ করছেন।
কিন্তু ১০ দিনের মাথায় বিষয়টি বুঝতে পেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাঘাটার নলছিড়া গ্রাম থেকে মূল আসামি নজরুলকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে মূল আসামি গ্রেফতারের বিষয়টি জানান।
২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর নলছিড়া গ্রামের ৮ বছর বয়সী ওই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন নজরুল ইসলাম। সপ্তাহখানেকের মাথায় ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি শিশুটির মা বাদী হয়ে নজরুলকে আসামি করে গাইবান্ধা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
পরে এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয়। তদন্ত শেষে গত ২৯ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এর প্রেক্ষিতে নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এই অবস্থায় আত্মগোপনে চলে যান নজরুল। আর তার ভাই মজনু মিয়া জালিয়াতি করেন মোজাফফরকে সঙ্গে নিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭/আপডেট ২১০৭ ঘণ্টা
আরএ/এইচএ/