দিনরাতে থেমে থেমে বর্ষণ থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে মহাবিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষগুলো।
বগুড়ার শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে নিম্নআয়ের মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কর্মজীবী মানুষের এমন দুর্ভোগের চিত্র ওঠে আসে।
শহরের সাতমাথার কিছুটা পূর্বে একটি সড়কে আচমকা বৃষ্টির মুখোমুখি হন ছাতা হাতে একজন নারী। বৃষ্টির সঙ্গে বইতে শুরু করে দমকা হাওয়া। এতে তার হাতে থাকা ছাতাটি উল্টে যায়। সেই ছাতার সঙ্গে যুদ্ধ যুদ্ধ করতেই তার কাপড়চোপড় বৃষ্টির পানিতে ভিজে একাকার। বাংলানিউজের ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই দৃশ্য।
আমীর আলী, বাদশা, আব্দুল জব্বার এই রিকশাচালকদের দেখা গেল বৃষ্টির মধ্যেই ভিজে ভিজে রিকশা চালাচ্ছেন। বাংলানিউজকে জানালেন, সংসারে প্রচণ্ড অভাব। ঘরে বউ-বাচ্চা আছে। টাকা না কামাই করলে ঘরে চুলা চলবে না। সবাইকে উপোস থাকতে হবে। তাই বৃষ্টি-ঝড় দেখে কোন লাভ নেই। ঝড়বৃষ্টি মেনে নিয়েই তারা বাইরে বেরিয়েছেন। বাংলানিউজকে তারা আরও জানান, জেলার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন তারা। অভাবের কারণে গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছেন। অন্যের জায়গায় খুপরি ঘর বানিয়ে বসবাস করেন তারা। শহরে চালান ভাড়ায় চালিত রিকশা। ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে চলতে বাধ্য হন তারা। কারণ রিকশা চালিয়ে মহাজনকে ভাড়ার টাকা দিতে হবে। আবার নিজের জন্যও আয় করতে হবে। সংসারের খাবার জোটাতে হবে। সবমিলিয়ে তাদের মত নিম্নআয়ের মানুষগুলো এই আবহাওয়ায় ভীষণ কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন- যোগ করেন তারা।
শনিবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়া আবহাওয়া কার্যালয়ের টেলিপ্রিন্টার অপারেটর (টিপিও) শাফিউল কাফি বাংলানিউজকে জানান, ভোর ৪টা ৪০মিনিট থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার। এছাড়া থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলেও যোগ করে তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআই