শনিবার (২২ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, ওই স্থানে প্রায়ই নৌ-দুর্ঘটনা ঘটে। এখানে ৯০ ডিগ্রি মোড় রয়েছে। যার কারণে বিপরীতমুখি নৌ-যানকে দেখতে সমস্যা হয়। এ কারণেই বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তার ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা জানান, এরই মধ্যে উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভিক ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আপাতত উদ্ধার কর্মীরা গ্রিনলাইন-২ উদ্ধার কাজ করবেন।
এরপর রোববার (২৩ এপ্রিল) ভাটার সময়ে কার্গো জাহাজের উদ্ধার কাজ শুরু করা হবে বলে আশাবাদব্যক্ত করেন তিনি।
শনিবার বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে কীর্তনখোলা নদীতে কয়লাবাহী কার্গো জাহাজের সঙ্গে যাত্রীবাহী দিবা সার্ভিসের এম ভি. গ্রিনলাইন-২ লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় ৫২৫ টন কয়লা নিয়ে কার্গো জাহাজটি ঘটনাস্থলেই ডুবে যায়। এসময় লঞ্চের যাত্রী ও কার্গো জাহাজের আরোহীদের উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৭
এমএস/ওএইচ/বিএস
** বরিশালে কার্গো জাহাজ-যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষ