শনিবার (২২ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত জেলায় ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নদী বন্দরসমূহকে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে দিনভর অস্বাভাবিক জোয়ার বয়ে গেছে মেঘনায়। বিকেল পর্যন্ত মেঘনার পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ফসলের ক্ষেত ও ঘরবাড়ি।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (ডিবিশন-২) কাওসার হোসেন বলেন, বৈরী আবহাওয়া নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার বইছে। এতে উপকূলের কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। যে সব এলাকায় বাধ নেই কিংবা ভাঙ সে পয়েন্ট দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। শনিবার বিপদ সীমার ৩০ সেমি উচ্চতায় প্রবাহিত হয়রছে।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের অবজারভার মনির হোসেন বলেন, তিনদিন ধনের ভারী বর্ষণ হচ্ছে, শনিবার রাত পর্যন্ত জেলায় ৩৬ মিলি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, এ অবস্থা থাকবে আরো।
এদিকে টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত মনপুরা উপজেলার সোনার চর, কলাতলী, আন্দিরপাড়, ঈশ্বরগঞ্জসহ পাঁচ গ্রাম, ভোলা সদরের রামদাসপুর, মাঝের চর, ধনিয়াসহ সাত গ্রাম, চরফ্যাশনের কুকরী-মুকরী, মাদ্রাস, ঢালচর, চর পাতিলাসহ পাঁচ গ্রাম, তজুমদ্দিনের চাদপুর, বালিয়াকান্দিসহ তিন গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সেখানে মৌসুমী ফসলের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এছাড়াও পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে।
রাত সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। আরো দু'একদিন এ অবস্থা চলতে থাকলে বিশেষ করে দিন মজুররা চরম সংকটের মধ্যে পড়বেন বলো জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষকরাও।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
এএটি/