রোববার (২৩ এপ্রিল) সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর উচ্ছেদ অভিযানকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতউল্লাহ, রাজউক চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী, ডিএনসিসি'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল ইসলাম, ডিএনসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
মরিয়ম টাওয়ার সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, টাওয়ারটি আমাদের লেকের একটা বিষফোঁড়া। বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন মন্ত্রী রফিকুল ইসলাম মিয়া এটা পাস করিয়েছেন। তখন অনুমোদন নিয়ে লেকের উপরেই তারা এটা তৈরি করেন।

সরকারের পক্ষ থেকে মরিয়ম টাওয়ার অপসারণে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি না এমন প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রী বলেন, মরিয়ম টাওয়ার এটা তো নির্মাণ হয়ে গেছে। এটি একটা সরকারের অধীনেই তারা অনুমোদন নিয়েছে। আমরা এটা ভাঙতে পারি না। সেখানে যদি কোনো অবৈধ জায়গা থাকে সেটা আমরা উদ্ধার করবো। এমনকি কেউ যদি মামলা করে আর সেই মামলায় যদি হাইকোর্ট রায় দেন মরিয়ম টাওয়ার ভেঙে ফেলার, তাহলে আমরা ভেঙে দেবো। মরিয়ম টাওয়ারের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দুটি মামলা রয়েছে, সেই মামলায় যদি রায় হয় মরিয়ম টাওয়ার ভাঙতে হবে। তবে আমরা এটা উঠিয়ে দেবো।
গুলশান-বারিধারা লেকের পাশে ৫০ ফুট রাস্তা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে এখানে ৫০ ফুট রাস্তা হবে। পৃথিবীর সব দেশেই আছে লেক ড্রাইভ। এখানেও হবে। এখানে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারা ক্ষতিপূরণ পাবে।
মন্ত্রী বলেন, গুলশান লেকের জলাশয় ছিলো। জলাশয় নিয়েই গুলশান এলাকা করা হয়। কিন্তু কালের পরিবর্তনে দেখা যায় বিভিন্ন সরকার আসার পর এ জলাশয়গুলো ভরাট করা হয়।

তিনি বলেন, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া এ তিন সরকারের আমলে সমস্ত লেক এবং জলাশয় ভরাট করা হয়েছে। রাজউকের প্ল্যান অনুযায়ী গুলশানের আজাদ মসজিদও লেকের উপর নির্মিত, তাহলে কতোগুলো স্থাপনা আছে (যোগ করেন মন্ত্রী)। শেখ হাসিনার আমলে লেকের এক ইঞ্চি জায়গাও ভরাট করা হয়নি।
মেয়র আনিসুল হক বলেন, মন্ত্রীর নির্দেশে আমি এখানকার বাসিন্দাদের যাদের জায়গা ছিলো তাদের অভিযোগ শুনেছি, তাদের কিছু দাবি দাওয়া আছে। সেই দাবি সরকারের কাছে তুলেছি। সরকার চেষ্টা করবে সর্বোচ্চ যতটুক করা সম্ভব হয়। এ উচ্ছেদ অভিযানের পর গুলশান এভিনিউতে প্যারালাল রাস্তা হবে। এতে গুলশানের উপর চাপ কমবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭/ আপডেটেড ১৩১৫ ঘণ্টা
এসএম/আরআইএস/বিএস
** বারিধারা-শাহজাদপুর সংযোগ সড়কে চলছে উচ্ছেদ অভিযান