এ মার্কেট থেকে পাইকারি দরে বাহারি ছাতা কেনেন আজিজ। এরপর ছাতাগুলো বিশেষ কায়দায় বেঁধে নেন কোমরে।
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে জমে উঠেছে ছাতার মার্কেট। ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা আজিজের বিক্রিও গেছে বেড়ে। ছাতা কেনার জন্য তাকে ক্রেতারা ঘিরে ধরছেন।
বেসরকারি একটি ব্যাংকে চাকরি করেন কামরুন্নাহার। সাংসারিক কিছু জিনিস কিনতে শহরে এসেছেন। এসেই পড়েন বৃষ্টির মুখে। গন্তব্যে পৌঁছার আগেই বৃষ্টিতে ভিজে জুবুথুবু অবস্থা। বৃষ্টির কবল থেকে রক্ষা পেতে তাই এসেছেন ছাতা কিনতে।
শহরের কাঁঠালতলা ৩নং রেলগেট সংলগ্ন ছাতা মার্কেটেসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্রি হচ্ছে বাহারি ডিজাইনের ছাতা। বর্ষাকাল সামনে রেখে বিগত বছরের মতো এবারো স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আমদানি করেছেন বিপুল সংখ্যক বাহারি রঙ ও ডিজাইনের ছাতা। খুব সস্তায় ভালো মানের ফ্যাশনেবল ফোল্ডিং ছাতা মিলবে তাদের কাছে।
হাশমত আলী, ফয়সাল আহমেদ, আবুল কাশেমসহ একাধিক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, দেশীয় ছাতার মার্কেটের প্রায় পুরোটাই দখলে নিয়েছে ভারত, চীন, কোরিয়া, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের তৈরি ছাতা। এসব ছাতা সবার কাছে জনপ্রিয়। তবে ছাতাগুলো তেমন টেকসই নয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, এখানে দেশি ব্র্যান্ডের শরিফ, মদিনা, বঙ্গ, ভাই ভাই ও বায়োজিত ছাতা ছাড়াও এটলাস, ইউনিক, অলিম্পিক, ফিলিপস, চেরি, ফুজি প্রভৃতি বিদেশি ব্র্যান্ডের ছাতা পাওয়া যায়। বৃষ্টির কারণে আগের তুলনায় বিক্রি অনেক বেড়ে গেছে বলেও জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআর/জেডএস