সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মহানগরীর হেতেম খাঁ গোরস্থান থেকে তার মরদেহে উত্তোলন করা হয়। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে নেওয়া হয়।
রাওদার মরদেহ উত্তোলনের সময় আদালতের নির্দেশে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ড. রক্তিম চৌধুরী সেখানে উপিস্থিত ছিলেন। এছাড়া রাওদা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক আসমাউল হক এবং রাওদার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফসহ সিআইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পরিদর্শক আসমাউল হক কবর থেকে রাওদার মরদেহ তুলতে গত ১৬ এপ্রিল রাজশাহীর মুখ্য মহানগর আদালতে আবেদন করেন।
একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলনের জন্য ১৮ এপ্রিল আদালতের অনুমতি মেলে। পরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত পাল রাওদার মরদেহ তোলার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ড. রক্তিম চৌধুরীকে থাকার নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজশাহী সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক আসমাউল হক জানান, এখান থেকে তার মরদেহ রামেক হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে গঠিত তিন সদস্যর মেডিকেল বোর্ডও প্রস্তুত রয়েছে। তারা রাওদার মরদেহের দ্বিতীয় ময়না তদন্ত করবে। পরে দুপুরের মধ্যেই মরদেহ আবারও দাফন করা হবে। রাওদার মরদেহের ফের ময়না তদন্তে গঠন করা নতুন বোর্ডে রয়েছেন সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আমিরুল চৌধুরী ও নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহবুব হাফিজ এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান।
এদিকে, রোববার (২৩ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে রাওদাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে আবারও অভিযোগ করেন তার বাবা। আত্মহনন নয়, তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে ডা. মোহাম্মদ আতিফ বলেন, তিনি নিজেও একজন চিকিৎসক। তিনি সেই হিসেবেই রাওদার মরদেহ দেখেছেন। কিন্তু ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করলে যেসব চিহ্ন চোখে-মুখে ও শরীরের ফুটে ওঠার কথা তার কোনোটিই পাওয়া যায় নি রাওদার শরীরে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সুষ্ঠু তদন্ত করলে বিষয়টি বেরিয়ে আসবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত (২০ এপ্রিল) রাওদার মরদেহ উত্তোলনের কথা ছিল। কিন্তু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের অভিজ্ঞ চিকিৎসক সঙ্কটের কারণে বোর্ড গঠন যায়নি। তাই ওই দিন রাওদার মরদেহ উত্তোলন করা হয়নি।
গত ২৯ মার্চ দুপুরে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাওদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
৩১ মার্চ মেডিকেল বোর্ড গঠনের মাধ্যমে ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে ১ এপ্রিল দুপুর সোয়া ২টার দিকে মহানগরীর হেতেম খাঁ গোরস্থানে তার দাফন কাজ শেষ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭/আপডেট: ১০৫৭
এসএস/এএটি/বিএস