বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ছোট বড় কারখানার উৎপাদন। এছাড়া চলতি এইচএসসি পরীক্ষার্থীরাও পড়েছেন বিপাকে।
টানা বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার এক লাখ ৪০ হাজারের বেশি গ্রাহকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন। বিদ্যুতের অভাবে চলছে না বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, বিঘ্ন হচ্ছে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের কাজ।
জনজীবনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে বলতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ।
ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম শাহীন রেজা ফরাজি জানান, কয়েকদিন থেকে বৈরী আবহাওয়া ও ঝড়ো বাতাসের কারণে ৯৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইনে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। কোথাও গাছ পড়ে, কোথায় লাইন ছিঁড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। তাই এলাকাগুলোতে সঠিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না, তবে লাইনম্যানরা ২৪ ঘণ্টা লাইন মেরামতের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। বৈরী আবহাওয়া কেটে গেলে হয়ত নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে।
এদিকে ভোলার সাড়ে ৩৪ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্টের সহকারী ম্যানেজার হাফিজুর রহমান বলেন, জেলায় ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে আমরা সরবরাহ করছি কিন্তু গ্রিড লাইনে বিপর্যয়ের কারণে বিদ্যুৎ বিভাগ সরবরাহ করতে পারছেনা।
শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রের ইনচার্জ জিল্লুর রহমান বলেন, তিনটি কূপ থেকে আমরা গ্যাস উত্তোলন করছি কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ গ্যাস নিতে পারছে না। যে কারণে কয়েকদিন থেকে ২টি কূপ বন্ধ রাখা হয়েছে। একটি কূপ থেকে জেলায় ১২ মিলিমিটার ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে যা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। প্রয়োজন অনুসারে বিদ্যুৎ দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
এদিকে ভোলায় গ্যাস থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেও বৈরী আবহাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
আরএ