সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিম এই আদেশ দেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জেসমিন জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের লোকমান ফকিরের মেয়ে।
নাটোর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, জেসমিনের স্বামী লক্ষ্মীপুর উত্তরপাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে সেলিম হোসেন মাদকাসক্ত ছিলেন। নেশার টাকা যোগাতে সেলিম চালসহ বাড়ির বিভিন্ন মালপত্র চুরি করে বিক্রি করতেন। এনিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ হতো। ২০১৪ সালের ১৭ জুন (মঙ্গলবার) বিকেলে সেলিম ঘরের চাল বিক্রি করে নেশার টাকা দিতে বললে জেসমিনের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এতে রেগে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান সেলিম। পরদিন ভোরে সেলিম বাড়ি ফিরলে জেসমিনের সঙ্গে আবারও তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জেসমিন ঘরে থাকা হাঁসুয়া দিয়ে সেলিমকে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে সেলিমকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় জেসমিনকে আটক করে পুলিশ।
পরে সেলিম হোসেনের মা শানু বেগম বাদী হয়ে জেসমিনকে আসামি করে বড়াইগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সোমবার এ রায় দেন বিচারক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এসআই