ঢাকা, শনিবার, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

নৌযান মেরামত কারখানা খুলনার কাস্টমস ঘাটে নয়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
নৌযান মেরামত কারখানা খুলনার কাস্টমস ঘাটে নয় নৌযান মেরামত কারখানা খুলনার কাস্টমস ঘাটে নয়-ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: ‘নৌযান মেরামত কারখানা খুলনার কাস্টমস ঘাটে নয়’ এ স্লোগান নিয়ে সরকারি নৌযান মেরামত কারখানা ও ট্রেনিং সেন্টার অন্য স্থানে স্থাপনের দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন হয়েছে।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে খুলনার শহরের পূর্বপ্রান্তে কাস্টমস ঘাট থেকে শুরু করে রূপসা ঘাট পর্যন্ত এ মানববন্ধন করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

মানববন্ধনে এলাকাবাসীর দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান এমপি, খুলনা চেম্বারের সভাপতি কাজী আমিনুল হক, খুলনা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি তসলিম আহম্মেদ আশা, সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুব কায়সার, চেম্বারের পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার খলিফা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যানবাহন অধিদফতরের কর্মকর্তারা খুলনায় নৌযান মেরামত কারখানা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে সরকারি খাস অকৃষি জমি বরাদ্দ চায়। নৌযান মেরামত কারখানা খুলনার কাস্টমস ঘাটে নয়-ছবি: বাংলানিউজ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর খুলনার কাস্টমস ঘাট এলাকার ভৈরব নদীর তীরে ছয়শ’ মিটার দৈর্ঘ্যের তিন একর জমি চিহ্নিত করে। জমিটি ৯৯ বছরের লিজ দেওয়ার জন্য সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী যানবাহন অধিদফতরের অনুকূলে বরাদ্ধ দেয় এ মাসের ১৭ তারিখ। প্রতীকী মূল্য ধরা হয় এক লাখ এক হাজার টাকা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা পুরনো ব্যবসায়ীর কেউ জানতে পারেনি গোটা প্রক্রিয়া। স্থানটিতে স্বাধীনতার পর থেকেই খুলনাসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের ইট, বালি, কয়লা, পাথর, স’মিল, ও কাঠ ব্যবসার সবচেয়ে বড় মোকাম হিসেবে পরিচিত। প্রায় দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছেন অন্তত বিশ হাজার মানুষ। নানাভাবে জড়িত রয়েছে আরও ত্রিশ হাজার। যারা সবাই বসবাস করে কাস্টমঘাট ও নতুনবাজার এলাকায়। পাশেই রয়েছে একটি হাসপাতাল। রয়েছে খুলনার সরকারি জিলা স্কুল ও ফাতিমা স্কুল, করোনেশন বিদ্যানিকেতন।

তারা অভিযোগ করেন, সাধারণত এসব উন্নয়ন প্রকল্প স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারি দলের দায়িত্বশীল নেতারা মতবিনিময়ের মাধ্যমে জায়গা চূড়ান্ত করেন। সেখানে এ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা কঠোর গোপনীয়তার মাধ্যমেই সব কাজ গুছিয়েছেন। এটাই রহস্যজনক।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ এখানের স্থায়ী বাসিন্দা। তারাও বিষয়টি আগে থেকে জানতেন না।

রূপসা ঘাটের দক্ষিণ পাশ থেকে শুরু করে লবণচরা  স্লুইস গেট হয়ে পুটিমারী দশগেট পর্যন্ত রূপসা নদীর পশ্চিম পাশে রয়েছে শত শত একর সরকারি খাস জমি। নদীর পূর্ব পাড়েও রয়েছে পতিত খাস জমি। যেখানে সহজেই এমন একটি প্রতিষ্ঠান সুন্দর করে গড়ে তোলা যায় বলে বক্তারা জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এমআরএম/এএটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।