সোমবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ উদ্বেগ জানায়। মানবাধিকার কর্মী ও টিআইবি'র চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, কিছু দুর্যোগ প্রাকৃতিক আর কিছু দুর্যোগ রয়েছে মানুষসৃষ্ট।
বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ২৪ লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েও যদি সেটা জাতীয় দুর্যোগ না হয়, তাহলে জাতীয় দুর্যোগ শব্দটি অর্থহীন। আজকে দুঃখের বিষয় এই যে, হাওর এলাকায় ২৫ থেকে ৩০ জন জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও তারা সেখানে যান নাই। কেনই বা যাবেন, তারা তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন।
তিনি আরো বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও এনজিওগুলোকে সাথে নিয়ে সরকার একটা সুস্পষ্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করুক। সেখানে কি ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হলো সেটা নিরূপণ করে দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় কি ধরনের সহায়তা করা হবে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চাই।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, হাওর এলাকায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে একটা স্থায়ী পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করতে হবে। সরকারের ভিতর যে জেগে ঘুমিয়ে থাকার মনোভাব আছে তা দূর করতে হবে। স্বল্প মেয়াদে ১ হাজার কোটি ও দীর্ঘ মেয়াদে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানান তিনি।
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে আক্রান্ত এলাকা স্বচক্ষে পরিদর্শনের আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার জোতির্ময় বড়ুয়া, লেখক ও গবেষক স্বপন আহমেদ, মোহাম্মাদ সেলিম, কন্ঠশিল্পী কপিল আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এএম/আরআই