শ্রমজীবী মানুষের কাজ নেই, অলস সময় পার করছেন। ঘর-বাড়ি থেকে বের হহে পারছেন না তারা।
বৈশাখের এমন দিনে অপ্রত্যাশিত বৃষ্টির থৈ থৈ পানি। ভর দুপুরে অন্ধকার। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। শহরের বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা। রাস্তায় কাদাপানি এসব চোখে পড়তেই মনে হয় এখন বর্ষাকাল। বৈশাখের এমন বৃষ্টি যেন আষাঢ়-শ্রাবণকেও হার মানায়। বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাত থেকে বৃষ্টির শুরু। ২৪ এপ্রিল দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে ভারী বর্ষণসহ বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টির দ্বিতীয় দিন বজ্রপাতে কৃষকসহ নিহত হয়েছেন দুই জন।
ছয়দিনের তুমুল বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুরের ৯২ হাজার হেক্টর জমির রবি ফসলের মাঠ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে ৫০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির সয়াবিন চাষির সর্বনাশ হয়েছে। বাদাম, মরিচ, ডাল ও তরমুজসহ রবি ফসল হারিয়ে কৃষকরা এখন হতাশ।
এদিকে, বৃষ্টির প্রভাবে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে জোয়ারের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে দেড়-দুই ফুট বেড়েছে। কমলনগরে জোয়ারের তীব্রতায় মেঘনার ভাঙন বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এএটি/এমজেএফ