জানা যায়, ভারতে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় ৫০-৬০টি বন্য হাতির দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। হাতির দল রোববার (২৪ এপ্রিল) রাতজুড়ে সীমান্ত ঘেঁষা ১০ একর জমির ইরি-বোর ধান ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি সাধন করে।
আলগারচর ও খেওয়ারচরে হতিরদলের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সিরাজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, পাখি মিয়া জানান, ‘ভারতীয় বন্য হাতির পাল আইস্যা সব ফসলের ক্ষেত তছনছ কইরা খাইয়া গ্যাছে। দাদনের উপর টাকা নিয়্যা জমিতে ধান লাগাইছি, একরাতে হাতি আইস্যা ধান খাইয়া গ্যাছে’।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তারা বলেন, এ ক্ষতি কি দিয়্যা পুষামু। ভারতীয় বন্যহাতি যেন বাংলাদেশে আসতে না পারে সরকারকে সে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বাংলানিউজকে জানান, সীমান্ত এলাকার মানুষজনকে প্রতিরাতে ভারতীয় বন্যহাতির আতঙ্কে থাকতে হয়। রোববার রাতে সীমান্ত ঘেঁষা কৃষি জমির ফসল নষ্ট করেছে একদল বন্য হাতি।
তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগেও একদল বন্যহাতি এসে ভুট্টা, গম, আখসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষতি করে গেছে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার ইরি-বোরো ধানের যে ক্ষতি করেছে তাতে কৃষকরা কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারবে না।
রৌমারী উপজেলা বন কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, পাহাড়ে খাদ্য সংকট দেখা দিলে হাতিগুলো লোকালয়ে নেমে এসে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে। গ্রামবাসীদের আগুন জালিয়ে ও ঢাকঢোল পিটিয়ে হাতি তাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই।
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের আলগারচর সীমান্তের আর্ন্তজাতিক সীমান্ত পিলার ১০৭২ এর কাছ দিয়ে রোববার রাত ৮টার দিকে ভারতের বলদাগীরী গ্রেট দিয়ে ৫০-৬০টির এক দল বন্যহাতি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। হাতির দলটি রাতে সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে প্রায় ১০ একর ইরি-বোরো ধানের ক্ষতি করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
জেডএস