ঢাকা, শনিবার, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে নজর দেওয়ার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে নজর দেওয়ার আহ্বান মতবিনিময় সভায় বক্তারা

ঢাকা: সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও নাগরিক বান্ধব সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি)।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর শামসুল আরেফিন মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।

বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, অ্যাকাডেমিক, ট্রেড ইউনিয়ন ও সিবিও সমন্বয়ে গঠিত আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক স্যাপির সহায়তায় আইইডি ‘অসামরিকীকরণ ও সামাজিক সুরক্ষা’ শিরোনামে একটি পজিশন পেপার তৈরি করেছে।

বিশিষ্ট গবেষক ও সমাজকর্মী মঙ্গল কুমার চাকমা প্রণীত ওই পজিশন পেপারের ওপর আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আইইডি’র চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রো-ভিসি ডা. রশিদ ই মাহবুব।
 
সভায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন আইইডির প্রকল্প সমন্বয়কারী জ্যোতি চট্টোপাধ্যায়। আলোচনা করেন আইইডির নির্বাহী পরিচালক নুমান আহম্মদ খান, প্রকল্প কর্মকর্তা হাফিজ আদনান রিয়াদ, সংবাদিক নেতা রফিকুল ইসলাম আজাদ প্রমূখ।
 
সভায় মূল প্রবন্ধে বলা হয়, সত্যিকার গণতান্ত্রিক ও নাগরিকবান্ধব সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান তৈরি ও শক্তিশালী করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং জনপ্রতিনিধি ও বেসামরিক জনপ্রশাসনের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হওয়া প্রয়োজন। আজো অনেক মানুষ দরিদ্র, তাই দেশে সামাজিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত খাতে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। সামরিক খাতের ব্যয় জাতীয় বাজেটের আওতাধীন করে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করতে হবে।
 
সভায় বলা হয়, নারী, আদিবাসী, দলিত ও অন্যান্য পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষার লক্ষ্যে বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন। পাশাপাশি দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়নের জন্য খাদ্য নিরাপত্তায় প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। সভায় সামাজিক সুরক্ষায় সকল নাগরিকের জন্য পেনশন স্কিম নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
 
সভায় বক্তারা বলেন, গণতন্ত্র ও সুশাসনের আকাঙ্ক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতালাভের পরপরই আমরা একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান পাই। সে অনুযায়ী দেশ পরিচালনা হতে থাকে। কিন্তু স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছর পরেই দেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতিকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি থেকে প্রত্যক্ষ সামরিক শাসনে প্রবেশ করে। এই সময়কালে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস ও সেনাবাহিনীকে পাশে রেখে বেসামরিক সরকার দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে নতুন মেরুকরণ তৈরি হয়।
 
তারা আরও বলেন, দেশে সামরিক বাহিনীর অনেক অবদান আছে, সেজন্য দেশবাসী গর্বিত। তারপরও গণতান্ত্রিক দেশে সামরিক বাজেট জাতীয় বাজেটের অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রয়োজন। সেনাবাহিনী বর্তমানে এমন অনেক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে, যা কিনা বেসামরিক প্রশাসন ও খাতের এখতিয়ারভুক্ত। ফলে সেনাবাহিনীর স্বকীয়তা ও স্বতন্ত্র ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।