সোমবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টার পর থেকে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তবে ছোট আকারের লঞ্চগুলোর চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে ৭টি রুটে ৭০টির মতো লঞ্চ চলাচল করে থাকে। নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ রুটে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০ মিনিট পর পর লঞ্চ ছেড়ে যায়। এই রুটে ২৫টি লঞ্চ চলাচল করে। নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর রুটে ১৫টি, মতলব-মাছুয়াখালী রুটে ১৯টি, হোমনা-রামচন্দ্রপুর একটি, ওয়াবদা, সুরেশ্বর-নরিয়া (শরিয়তপুর) কয়েকটি লঞ্চ চলাচল করে থাকে।
বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় লঞ্চঘাট থেকে চাঁদপুর, শরিয়তপুর, মুন্সিগঞ্জসহ সাতটি রুটে মোট ৭০টি লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করে।
তবে শীতলক্ষ্যায় লঞ্চ চলাচলের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে কচুরিপানা। কচুরিপানার কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। বিশেষ করে ছোট আকারের লঞ্চগুলো কচুরিপানা এড়াতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার উপক্রম দেখা দিচ্ছে। তার উপরে শীতলক্ষ্যায় এলোপাথারি বড় আকারের পণ্যবাহী জাহাজগুলো নোঙর করে রাখায় শীতলক্ষ্যার চ্যানেল ছোট হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাংলানিউজকে জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ থেকে ৭টি রুটে লঞ্চ চলাচল একেবারেই বন্ধ ছিল। তবে সকাল ৯টার পর আবহাওয়ার সামান্য উন্নতি হলে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে একটি লঞ্চ ছেড়ে গেলেও এরপর আবহাওয়ার অবনতি হওয়ায় তা আবারও বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
তিনি বলেন, বেলা ১২টার পরে চাঁদপুর, ওয়াপদা ও মতলবের উদ্দেশ্যে কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় শুধুমাত্র ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশে ৬৫ ফুটের উপরের লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য দিনের তুলনায় যাত্রী কম থাকায় লঞ্চও কম ছেড়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
জিপি/বিএস