সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সংসদ ভবনের আইপিডি কনফারেন্স কক্ষে সর্বদলীয় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় ফোরাম ও কোস্ট ট্রাস্ট এর যৌথ আয়োজনে ‘উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, শিশু-কিশোর-যুবকদের সুরক্ষা: মনপুরা দ্বীপের উদাহরণ’ শীর্ষক আলোচনায় এ কথা বলেন ডেপুটি স্পিকার।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরোয়ার কমল, টিপু সুলতান, নবী নেওয়াজ, জেবুননেছা আফরোজ, পানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, অধ্যাপক ড. শারমিন নিলোর্মি, বাংলাদেশে ইউনিসেফ প্রতিনিধি অ্যাডওয়ার্ড বেইগবেডার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার বলেন, উন্নত দেশগুলো শিল্পায়নের নামে যে হারে কার্বন নিঃসরণ করছে তার বিরূপ প্রভাব পরিবেশের ওপর পড়ছে এবং ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য যে আর্থিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি উন্নত দেশগুলো দিয়েছে তা পূরণে তারা কার্যকারী ভূমিকা রাখছে না।
ইউনিসেফসহ অন্যান্য পরিবেশবাদী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, পরিবেশের ভারসম্য নষ্ট করছে উন্নত বিশ্ব আর তার খেসারত দিচ্ছে আমাদের দেশ। বাংলাদেশ পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় সরকার সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত বাজেটও বরাদ্দ দিচ্ছে। কিন্তু এ দায় কী শুধু বাংলাদেশের? পরিবেশের হুমকির জন্য যারা দায়ী তাদের কেন ক্ষতিপূরণ বাবদ পর্যাপ্ত আর্থিক বরাদ্দ দিতে আপনারা কার্যকারী ভূমিকা রাখছেন না?
সভাপতির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ইনোসেন্ট ভিক্টিম। আমাদের দায় নেই কিন্তু আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের অসহায় শিকার।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করা এবং এর সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ড. হাছান মাহমুদ।
পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন, জলাবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অপ্রত্যাশিত। যখন বৃষ্টি হওয়ার কথা তখন হচ্ছে না, যখন প্রয়োজন নেই তখন হচ্ছে। এটা জলাবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ