স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মালেক এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-রংপুর এর মতো মহাসড়কগুলোতে সরকার এইসব হাইওয়ে পার্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
তিনি বলেন, এইসব হাইওয়ে পার্কে একটি বড় পুকুর, বাস-বে, ফ্রেশ-রুম, কফি শপ, বুটিক শপ, গেম জোন, পেট্রোল পাম্প, কনফেকশনারি, বাগান ও গেস্ট হাউজ থাকবে। এর পরিচালনার জন্য একটি গাইড লাইন তৈরি করা হবে। জেলা পরিষদ এর পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে। এটা ওই জেলা পরিষদের আয়ের একটি বড় উৎস হবে।
আব্দুল মালেক বলেন, একটি মহাসড়কে এক বা একাধিক হাইওয়ে পার্ক তৈরি করা হবে। উন্নত সেবা দেয়া ও জেলা পরিষদকে সক্রিয় করতে তার আয় বাড়াতেই এ উদ্যোগ।
এছাড়া ও জেলা পরিষদের অধীনে সারা দেশে যে দুই হাজার পুকুর আছে তার সঙ্গে আরো আট’শ পুকুর যোগ হবে। এইসব পুকুরের চারপাশ কাঁটা তার দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। কেউ এখানে গোসল করতে পারবে না। প্রতিটি পুকুরের পাড়ে টিউবওয়েল থাকবে। পুকুরের পানি সেই টিউবওয়েল দিয়ে পাম্প করে ব্যবহার করা যাবে।
তিনি বলেন, জেলা পরিষদকে একটি কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করাতে সরকার বদ্ধপরিকর। জেলা পরিষদ সার্ভিস নামে যে বিষয়টি আইনে আছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়ন করতে চায়। এজন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ তাদের সঙ্গে মাটির সম্পর্ক আছে, মানুষের সম্পর্ক আছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
আরএম/আরআই