ঢাকা, রবিবার, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ ৩৩ শতাংশের বেশি হওয়া উচিৎ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ ৩৩ শতাংশের বেশি হওয়া উচিৎ আলোচনা সভায় অতিথিরা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: আগামী সংসদ নির্বাচনে নারীদের সরাসরি অংশ নেওয়ার হার ৩৩ শতাংশের বেশি হওয়া উচিৎ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) হোটেল লেকশোরে ‘ডেমোক্রেসি চ্যাম্পিয়নস’ বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।  

‘নারীর জয়, সবার জয়’ স্লোগানকে সামনে রেখে আলোচনা সভার আয়োজন করে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল।

এইচ টি ইমাম বলেন, বিশ্বে সব ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নের ঢেউ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বাংলাদেশে প্রথম নারী সেনাবাহিনী অফিসার, পুলিশ অফিসার, জেলা প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছেন। আমি গর্বের সঙ্গে বলছি ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো কাজ করছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান নারীর সংরক্ষিত আসনের বিরোধিতা করে বলেন, নারীদের যদি আমরা মেইনস্ট্রিমে না আনতে পারি তাহলে সংরক্ষিত আসন দিয়ে তাদের ক্ষমতায়নে কোনো কাজই হবে না।

তিনি বলেন, আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি তাহলে অন্যকে কথা বলতে দিতে হবে। গণতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠের কথা চলবে তবে সংখ্যালঘিষ্ঠের মত‍ামতকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী হবে।
 
আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের ঘোষণায় তাদের ধন্যবাদ জানান আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে দুর্বল দিক হলো ঘৃণার রাজনীতি। অনেক রাজনৈতিক দলের মিলন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। রাজনীতি যে একটি ব্রত তা আর অনেকেই মানেন না।

আলোচনা সভায় অতিথিরা-ছবি-বাংলানিউজহাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনীতিকে এখন প্রটেকশনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সরকারের কাজের গঠনমূলক সমালোচনা হওয়া উচিত।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদা রশীদ চৌধুরী বলেন, নারীর মূল্যায়ন অনেক সময় করা হয় না। কিন্তু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ তার সময়ে নারীর ক্ষমতায়ন শুরু করেন। তার ফল আজ আমরা পাচ্ছি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সহনশীলতার অভাব রয়েছে যার পরিবর্তন দরকার। নারীরা নিজের যোগ্যতায় নির্বাচিত হয়ে সংসদে আসবেন, সিলেকশনে নয়।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আওয়ামী লীগের প্রত্যাশা অনুযায়ী ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হতে হলে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে। প্রবীণ রাজনৈতিক নেতারা ভুলও করেছেন আবার অনেক ভালো কাজও করেছেন বলেই আমরা আজ এ অবস্থায় আসতে পেরেছি।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন-  ইউএসএইড এর পরিচালক ক্যাভেন গ্যাজ, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক।

এ সভায় ডিপিআর প্রকল্পের সমাপনী এবং এসপিএল প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।  

ইউএসএইড ও ইউকেএইড এর সহযোগিতায় ১০১ রাজনৈতিক কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তারা তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
কেজেড/আরআর/বিএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।