তীব্র তাপদাহের মধ্যে প্রায় ৯ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর এ অভিযান শেষে গাড়িতে ওঠার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তারা বলেন, এটা তাদের নিয়মিত অভিযানেরই অংশ ছিল।
কর্মকর্তারা আরও জানান, পুলিশ আগে রাতে অভিযান চালাতো, এখন দিনেও করবে। আজ থেকে তা শুরু করা হলো। আজকের মতো অভিযান এখানেই শেষ। তবে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে এমন ‘ব্লক রেইড’ আগামীতেও চলবে।
‘ব্লক রেইড’স্থল রাজপাড়া থানার ওই এলাকাগুলোয় জঙ্গি আস্তানার ব্যাপারে কোন তথ্য ছিল কিনা- এমন প্রশ্নে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পূর্ব) আমীর জাফর সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওভাবে স্পষ্ট করার মত কিছু বলবো না। তবে আমাদের কাছে কিছু তথ্য ছিল। আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে মিলিয়ে দেখলাম। এ অভিযানে কাউকে আটক করা হয়নি, কিছু উদ্ধারও হয়নি। তবে ভবিষ্যতেও অভিযান চলবে’।
‘ব্লক রেইডে’ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য কোনো ইউনিট ছিল কিনা- এমন প্রশ্নে আমীর জাফর বলেন, ‘পুলিশ এককভাবেই অভিযানটা করেছে। অন্য কেউ ছিল না। তবে কোনো ইউনিট এসে থাকলেও তাদের প্রয়োজনেই আসতে পারে। অন্য বাহিনী কাউকে আটক করলে আমাদের জানার কথা ছিল’।
এদিকে, ব্লক রেইড শুরুর পর অভিযানস্থল মহানগরীর ২নং ওয়ার্ডের হড়গ্রাম পূর্বপাড়া এলাকা, টুলটুলিপাড়া, আলিগঞ্জ ও কোর্ট কলেজ এলাকার প্রবেশ মুখ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। রেইড চলাকালে ওয়ার্ডের ওই এলাকাগুলোর প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ঢুকে ঢুকে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় কেউ ভেতর থেকে বাইরে যেতে বা কেউ বাইরে থেকে ভেতরে ঢুকতে পারেনি। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এলাকা ছেড়ে যাওয়ার পরই আবার স্বাভাবিক হয় যাতায়াত। সকাল ও বিকেল দুই দফায় ব্লক রেইড চলে। প্রথম পর্যায় শেষে রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) একেএম নাহিদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা কিছুই বলতে পারবেন না। অভিযান শেষে ব্রিফিং করবেন। তখন এই ব্যাপারে গণমাধ্যমকে সব তথ্য জানানো হবে বলেও জানান তারা।
ব্লক রেইড সময় ঘটনাস্থল ঘুরে র্যাব সদস্যদের দেখা না গেলেও পুলিশের সঙ্গে পিবিআই ও সিআইডি সদস্যদের দেখা গেছে। ৪২ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি টিম ব্লক রেইড চালায়।
অভিযানে বাইরে থেকে নেতৃত্ব দেন রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। ঘটনাস্থলে ছিলেন মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) তানভির হায়দার চৌধুরী, উপ-কমিশনার (পশ্চিম) একেএম নাহিদুল ইসলাম, উপ-কমিশনার (পূর্ব) আমীর জাফর ও মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সদর) ইফতে খায়ের আলম।
এছাড়া দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সুব্রত পাল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমন দে এলাকা পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭/আপডেট ০১১৯ ঘণ্টা
এসএস/এইচএ/